আগের দিন স্বপ্নের ক্রিকেট খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কে জানতো চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা এমন হতাশ করা হবে। শনিবার সকাল থেকেই পতনের মিছিল। আগের দিন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া লিটন কুমার দাস ফিরলেন শুরুতেই। শতরানের সুবাস পেলেও পেলেন না মুশফিকুর রহিম। তারপর বালির বাঁধের মতো ভাঙল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। সব মিলিয়ে দল অলআউট ১ম ইনিংসে ৩৩০ রানে।
এরপর নেমে দ্বিতীয় দিনে সব চাওয়াই যেন পূরণ হলো পাকিস্তান দলের। দিনের শেষ দুই সেশন কোনো উইকেট না হারিয়েই কাটল সফরকারীরা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুধু বল করেই গেলেন টাইগার বোলাররা, ধরা দিল না সাফল্য।
শনিবার দ্বিতীয় দিনটি পাকিস্তান দিন শেষ করেছে ৫৭ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রানে। ১৮০ বলে ৯ চার ও দুই ছক্কায় ৯৩ রানে অপরাজিত আবিদ আলি। ১৬২ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিকের সংগ্রহ ৫২ রান।
যা একটু সমীহ পেলেন বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তবে উইকেট পেলেন না। এ অবস্থায় এখনো পাকিস্তান পিছিয়ে ১৮৫ রানে। যদিও ১০ উইকেটই অটুট রয়েছে তাদের। সন্দেহ নেই টেস্টের তৃতীয় দিন শুরুর আগেই চাপে পড়ে গেল মুমিনুল হকের দল। ম্যাচ বাঁচানোর কথাই ভাবতে হচ্ছে তাদের।
এর আগে দিনের শুরু পেসার হাসান আলি বিপাকে ফেলেন বাংলাদেশকে। এদিন প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ৭৭ রান করতে হারায় ৬ উইকেট। কিছুই করতে পারেনি টাইগারদের টপ অর্ডার। মেহেদী হাসান মিরাজ কিছুটা লড়লেন। তার ব্যাটে দল তিনশ রান পেরোয়। ৬ চারে ৬৮ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
এরপর পাকিস্তানি দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক রাজত্ব করলেন। কোনো বিপদ ছাড়াই দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশন পার করেন। সেঞ্চুরির পথে আবিদ। হাফসেঞ্চুরি করে অপরাজিত অভিষিক্ত শফিক। পাকিস্তান ১ম ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রান করেছে।
১৮০ বলে ৯৩ রান নিয়ে রোববার নামবেন আবিদ। তার সঙ্গে ১৬২ বলে ৫২ রান নিয়ে লড়ছেন শফিক। বিপাকেই পড়ে গেল টাইগাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৩০/১০
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৪৫/০ (আবিদ ৯৩*, শফিক ৫২*; আবু জায়েদ ১০-০-৩০-০, ইবাদত ১২-৩-৩১-০, তাইজুল ১৯-৫-৩৯-০, মিরাজ ১৩-৪-৩৩-০, মুমিনুল ৩-০-১২-০)
#২য় দিন শেষে
Discussion about this post