ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ব্যাট-বল হাতে দলের বিপদের সময় জ্বলে উঠলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ের সময় তাকে সঙ্গ দিলেন নাঈম শেখ। এদিকে বোলিংয়ের তাকে দারুণ সঙ্গ দেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান। শেষ পর্যন্ত তাদের নৈপুণ্যে ওমানকে ২৬ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের আশা বাঁচিয়ে রাখল টিম টাইগার্স।
দলের বিপদের মুহূর্তে ব্যাট-বল হাতে জ্বলে উঠলেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গী হিসেবে ব্যাটিংয়ের সময় এ তারকা নাঈম হাসানের সঙ্গ। এদিকে বোলিংয়ের তাকে দারুণ সঙ্গ মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান। শেষ পর্যন্ত তাদের নৈপুণ্যে ওমানকে ২৬ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের আশা বাঁচিয়ে রাখল টিম টাইগার্স।
সুপার টুয়েলভের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ওমানের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাকিব ৪২ ও নাঈম করেন ৬৪ রান। পরে বল হাতে সাকিব ও মোস্তাফিজ নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে ওমানকে ১২৭ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। সাকিব ৩টি ও মোস্তাফিজ নেন ৪ উইকেট।
হারলেই বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ওঠার স্বপ্ন শেষ। তাই মঙ্গলবারের ম্যাচটি টাইগারদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাঁচামরার। তবে এদিন শুরুতে ব্যাটিং-বোলিং ভাল না হওয়ায় হারের শঙ্কা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ব্যাট-বল হাতে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে ওঠেন সাকিব। এদিকে ব্যাট হাতে নাঈম শেখ ও মাহমুদউল্লাহ রাখেন দারুণ অবদান। এরপর বল হাতে মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন ঠিক সময়ে উৃইকেট এনে দেন। যে কারণে জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের। এরফলে সুপার টুয়েলভে ওঠার আশাও বেঁচে রইল টাইগারদের।
গত ম্যাচে বাজে শটে ফিরে ছিলেন সাজঘরে। তাই মঙ্গলবার শুরু থেকেই বেশ দেখে শুনে খেলেন সাকিব। দলের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে একাদশে সুযোগ পাওয়া নাঈমের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন সাকিব। এক পর্যায়ে এ তারকা ৪২ রান করে রান আউট হন। তবে এক প্রান্তে আগলে ছিলেন নাঈম। শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানে ফেরেন। শেস দিকে মাহমুদউল্লাহ ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন। যে কারণে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
বল হাতে শুরুটা ভাল ছিল না টাইগারদের। তবে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট এনে দেন মোস্তাফিজ। তবে তিনি ছিলেন খরুচে। এ বাঁহাতি এক ওভার পর ফিরেই আঘাত আনেন ওমান শিবিরে। এদিকে আক্রমণে এসেই টাইগারদের স্বস্তি ফেরান শেখ মেহেদী। পরে সাকিব দেখান জাদু। মাঝে সাইফউদ্দিন ও শেষ দিকে সাকিব-মোস্তাফিজের ভেলকিতে ১২৭ রানেই থামে ওমান।
সাকিব ২৮ রানে ৩টি ও মোস্তাফিজ ৩৬ রানে নেন ৪ উইকেট। ব্যাট-বল হাতে দারুণ খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৩ (লিটন ৬, নাঈম ৬৪, মেহেদি ০, সাকিব ৪২, সোহান ৩, আফিফ ১, মাহমুদউল্লাহ ১৭, মুশফিক ৬, সাইফ ০, তাসকিন ১*, মোস্তাফিজ ২; বিলাল ৪-০-১৮-৩, কলিমউল্লাহ ৪-০-৩০-২, ফায়াজ ৪-০-৩০-৩, নাদিম ৪-০-৩৫-০, ইলিয়াস ২-০-১৬-০, মাকসুদ ২-০-১৭-১)
ওমান: ২০ ওভারে ১২৬/৯ (ইলিয়াস ৬, জাতিন্দার ৪০, প্রজাপতি ২১, মাকসুদ ১২, আয়ান ৯, সন্দিপ ৪, নাসিম ৪, কলিম ৫, নাদিম ১৪*, ফায়াজ ০, বিলাল ০*; তাসকিন ৪-০-৩১-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৩৬-৪, সাইফ ৪-০-১৬-১, সাকিব ৪-০-২৮-৩, মেহেদি ৪-০-১৪-১)
ফল: বাংলাদেশ ২৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সাকিব আল হাসান
Discussion about this post