বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে ছিলেন তিনি। অসুস্থতার সঙ্গে লড়ছিলেন আরও অনেক দিন ধরেই। ক্যান্সার তাকে কাবু করলেও হাল ছাড়েন নি নাদির শাহ। হাসি মুখে লড়ে গেছেন। কিন্তু জীবনের এই যুদ্ধে শেষ অব্দি হার মানতেই হলো তাকে। লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরতে পারলেন না নাদির। চলেই গেলেন বাংলাদেশের এই তারকা আম্পায়ার।
ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক এই ক্রিকেটার ও বাংলাদেশে আইসিসির সাবেক প্যানেল আম্পায়ার মারা গেছেন। রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে শুক্রবার ভোর রাতে মারা যান নাদির শাহ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
নাদির শাহ অনেক দিন ধরেই ভুগছিলেন ফুসফুসের ক্যান্সারে। এই সেপ্টেম্বরের শুরুতে শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপরই শারীরিক অবস্থায় আরো সঙ্কটাপন্ন হয় আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে। সেখানেই শুক্রবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ণময় এক চরিত্রের মানুষ নাদির শাহ।
ক্রিকেটার ও আম্পায়ার দুই ভূমিকায় বেশ উজ্জ্বল তিনি। চঞ্চল, সুদর্শন এই তারকা ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর আর্ন্তজাতিক আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইসিসি’র আর্ন্তজাতিক প্যানেলের আম্পায়ার ছিলেন তিনি।
বছর দুয়েক ধরেই ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। বেশ কয়েক দফায় দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসাও নেন নাদির। কিন্তু সেরে উঠে ফের ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারলেন না।
ক্রিকেটার নাদির শাহ ছিলেন লেগ স্পিনার। ব্যাটিংও করতেন বেশ। ঢাকা লিগে দুই দশকের বেশি সময় খেলেছেন আবাহনী, মোহামেডান, বিমান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সূর্যতরুণ, আজাদ বয়েজ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান ক্লাবে।
এরপর খেলা ছেড়ে হয়ে উঠেন দেশের এক নম্বর আম্পায়ার। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করে ২০০৬ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক। ৪০টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনি পরিচালনা করেন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে। টিভি আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেছেন ৬ টেস্ট ও ২৩ ওয়ানডেতে। সঙ্গে ৭৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১২৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন নাদির।
২০১৯ সালের অক্টোবরে, মিরপুরে জাতীয় লিগের ম্যাচে শেষবার মাঠে দেখা গেছে তাকে। এরপর অসুস্থতা তাকে পাঠিয়ে দেয় মাঠের বাইরে। নাদির শাহর আরেক ভাই সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের সবসময়ের সেরা পেসারদের অন্যতম জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা।
Discussion about this post