ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
১১ বছর আগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। মূলত এরপর থেকেই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল দীর্ঘ সময়। তবে ধীরে ধীরে দেশটির অবস্থা পরিবর্তন হওয়ায় বেশ কয়েকটি দেশ সেখানে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলে এসেছে। এরফলে এখন বড় দেশগুলোও দেশটি সফরে যেতে রাজি হচ্ছে। ঠিক এমন এক সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট ফের সন্ত্রাসী হামলার কবলে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোহাট বিভাগের ওরাকজাই জেলার দ্রাদার মামাজাই অঞ্চলে আমন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করেছে। যে কারণে ম্যাচটা পন্ড হয়ে গেছে। তবে সৌভাগ্য সবার, কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ খবর দিয়েছে দেশটির পত্রিকা দ্য নিউজ।
দ্য নিউজ প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে লিখেছে, ছানায় গ্রাউন্ড নামের মাঠে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে অনেক দর্শকই ছিলেন। এর মধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা ছিলেন, সংবাদকর্মীরা তো ছিলেনই। কিন্তু ম্যাচ শুরু হতেই দুঃস্বপ্নের শুরু। মাঠের কাছেই থাকা পাহাড় থেকে সন্ত্রাসীরা মাঠের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এর মধ্যেই দ্রুত খেলোয়াড়, আম্পায়ার, সংবাদকর্মী, দর্শক – যে যেদিকে পেরেছেন, জীবন বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন। সৌভাগ্যবশত, পালিয়ে বাঁচতে পেরেছেন সবাই। প্রতিবেদনে এক দর্শককে উদ্ধৃত করে লেখা, গোলাগুলি এত বেশি হচ্ছিল যে আয়োজকেরা সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচ বাতিল করে দেন।
আগেই নাকি পুলিশের কাছে খবর ছিল ওই পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আনাগোনার। এখন সন্ত্রাসী ও অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছে ওরাকজাই জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নিসার আহমাদ।
এখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য নিরাপদ নয় পাকিস্তান। আর তাই বড় দেশগুলো দেশটিতে সফর করেনি। তবে অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় দেশগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে শুরু করেছিল। ঠিক এমন এক সময়ে পাকিস্তানের অখ্যাত এক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ম্যাচে হয়ে গেল সন্ত্রাসী হামলা।
Discussion about this post