ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
স্বপ্নের মতোই এক ইনিংস খেললেন তামিম ইকবাল। ছয় বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) নেমেই পেলেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। আগের দিনই পেয়েছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। রোববার সেই ইনিংসটাকেই ট্রিপল বানিয়ে ফেললেন দেশসেরা এই ওপেনার।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে পেলেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। গড়লেন সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। বিসিএলের ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই রেকর্ড তামিম। মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় দিন লাঞ্চের পরই পূর্বাঞ্চলের হয়ে তিনশ রানের মাইলফলক মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
তামিম অপরাজিত ৩৩৪ রানে যখন অপরাজিত তখনই ইনিংস ঘোষণা করে পূর্বাঞ্চল। অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের সর্বোচ্চ রান ৩৩৪ রান।
সেই ২০০৭ সালে জাতীয় লিগে বরিশালের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে ফতুল্লায় অপরাজিত ৩১৩ রানের ইনিংস খেলেন রকিবুল হাসান। এটিই এতদিন ছিল দেশের একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি। এবার তাকে ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় তামিম।
৫৬০ মিনিটে ৪০৭ বল খেলে তিনশ করেন তামিম। রকিবুলের ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে লেগেছিল ৬০০ বল ও ৬৪০ মিনিট।
ট্রিপল সেঞ্চুরি ছাড়াও দুটি রেকর্ড এই ইনিংসে গড়েন তামিম। তিনশ ছোঁয়ার সময় ইনিংসে চার ৪০টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসমানদের মধ্যে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি চার ছিল মোসাদ্দেক হোসেনের। জাতীয় লিগে ২৮২ রানের ইনিংসের পথে ৩৭টি চার হাঁকান মোসাদ্দেক।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওপেনার হিসেবে আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল লিটন দাসের। ২০১৮ সালে বিসিএলের ম্যাচেই মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে পূর্বাঞ্চলের হয়ে ২৭৪ রান করেন লিটন।
২২২ রানে রোববার দিন শুরু করেন তামিম। আয়েশে খেলে উঠে গেলেন নতুন উচ্চতায়। রকিবুলের পর ট্রিপল সেঞ্চুরির সবচেয়ে কাছে গিয়েছিলেন নাসির হোসেন। ২০১৭ সালে জাতীয় লিগে রংপুরের বিপক্ষে তুলেন ২৯৫ রান।
Discussion about this post