ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে গত ১৩ জানুয়ারি রংপুর রাইডার্সের শেষ ওভারে জিততে দরকার ছিল ৯ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে রাইলি রুশো দেন ফরহাদ রেজাকে। কিন্তু এ ডানহাতি ফিজের পরের ৫টি বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বিপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা হেরে যায় ৫ রানে। তাতে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন ফরাহাদ। অবশ্য কয়েকদিন পর সেই মুস্তাফিজের শেষ ওভারে শহীদ আফ্রিদিকে একই অবস্থায় পড়তে হয়। যা দেখে নিজের কষ্ট ভুলেছেন ফরহাদ। এমনটাই জানিয়েছেন এ অলরাউন্ডার।
গেল ২১ জানুয়ারি মিরপুরে রাজশাহীর বিপক্ষে ২৪ বলে ৪৫ রান দরকার ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। ব্যাটিংয়ে আফ্রিদি। কিন্তু মুস্তাফিজের টানা পাঁচটি বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি তিনি। চাপে পড়ে কামরুল ইসলামের করা পরের ওভারে কুমিল্লার পাকিস্তান অলরাউন্ডার আউটই হয়ে যান। যা দেখে কষ্ট ভুলেছেন ফরহাদ রেজা। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি রাজশাহীর ছেলে। ওই দিন অনেক কষ্ট হয়েছে, আমি (ব্যাটে বল) লাগাতে পারিনি! পরে চার-পাঁচ দিন পর ভালো লেগেছে আফ্রিদিও পাঁচটি বল লাগাতে পারেননি। তখন মনে হয়েছে আমি ঠিক আছি।’
গত পরশু ফিরতি দেখায় চট্টগ্রামে রাজশাহী বিপক্ষে এক রকম প্রতিশোধই নিয়েছেন ফরহাদ। ডানহাতি এ পেসার পকেটে পুরেছেন ৩০ রানে ৩ উইকেট। বনে যান ম্যাচের নায়কও। তারপরও তৃপ্ত নন, তাকে যেতে হবে আরও সামনে, ‘রাজশাহীর বিপক্ষে খেলা আমার জন্য কষ্টের, ওটা আমার হোম টাউন। আর প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, চেষ্টা করি প্রতিটি ম্যাচ ভালো খেলতে। এখনো তৃপ্তি আসেনি। আরও কিছু ম্যাচ আছে। আরও যেন উন্নতি করতে পারি, সেদিকে তাকিয়ে আছি।’
বিপিএলে দারুণ বোলিং করছেন ফরহাদ। এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে আছেন দুইয়ে। বিপিএল শেষে নিশ্চয়ই তিনি থাকতে চান সেরা উইকেট সংগ্রাহকদের শীর্ষে। যদি সেটা হয়েই যায় অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
Discussion about this post