ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সামনে ছিল ১৩৫ রান। টি-টুয়েন্টিতে এই রান টপকে যাওয়া বড় কিছু নয়। জয়ের পথেই ছিল রংপুর রাইডার্স। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ২ রানে হারের ধাক্কা সামলে উঠতে দাপটে এগিয়ে যাচ্ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমানের দিনে অন্যদের কৌশল ব্যর্থ। তার কার্যকরী বোলিংয়ে সর্বনাশ রংপুরের। নিজের শেষ দুই ওভারে এই পেসার কেড়ে নিয়েছেন রংপুর রাইডার্সের জয়। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের শেষ মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। রাইডার্সের জয়টা শেষ মূহুর্তে কেড়ে নিয়েছেন কাটার মাস্টার।
রোববার মিরপুরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নাটকীয় লড়াইয়ে রংপুর রাইডার্সকে ৫ রানে হারাল রাজশাহী। যদিও মেহেদী হাসান মিরাজের দল ব্যাট হাতে বেশিদুর যেতে পারেনি। আটকে যায় ১৩৫ রানে। যা একটু লড়লেন জাকির হাসান। ৩৬ বলে তুলেন ৪২ রান। এরপর জবাব দিতে নেমে রংপুর করে ১৩০ রান। ৫ রানের আক্ষেপে পুঁড়ে দল।
মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেট নিতে পারেন নি মুস্তাফিজ। কিন্তু শেষের দুই ওভারে দৃশ্যপট পাল্টে দেন। ম্যাচ শেষ ৩ ওভারে মাশরাফির রংপুরের দরকার ছিল ২১ রান। হাতে উইকেট ৫টি। ক্রিজে রাইলি রুশোর মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান। কিন্তু মুস্তাফিজের বোলিংয়ের সামনে পারল না তারা।
১৮ ওভারে মুস্তাফিজ দিলেন মাত্র ৪ রান। ইসুরু উদানা পরের ওভারে দেন ৮ রান। শেষ ওভারে রংপুরের জিততে চাই ৯ রান। মুস্তাফিজের প্রথম বলে রুশো নেন এক রান। পরের তিন বলে ব্যাট স্পর্শ করতে ব্যর্থ ফরহাদ রেজা। পঞ্চম বলে বাই থেকে আসে এক রান। শেষ বলে ছক্কা হাঁকালে ম্যাচ যেত সুপার ওভারে। কিন্তু রুশোকে ১ রানের বেশি দিলেন না মুস্তাফিজ। তারই পথ ধরে প্রায় হারা ম্যাচ জিতে ফিরল রাজশাহী। এমন কী বিপিএলে লড়াইয়েও ফিরল দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী কিংস: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (মুমিনুল ১৪, মিরাজ ০, সৌম্য ১৮, হাফিজ ২৬, জাকির ৪১*, ইভান্স ২, ডেসকাট ১৪, উদানা ৮, সানি ১, রাব্বি ১*; সোহাগ ১/২৫, মাশরাফি ২/২২, ফরহাদ রেজা ২/১৭ শফিউল ১/১৯)।
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৩০/৬ (গেইল ২৩, মাশরাফি ০, মিঠুন ৩০, রুশো ৪৪*, বোপারা ১, হাওয়েল ৪, নাহিদুল ১৬, ফরহাদ ০*; কামরুল ২/২২, হাফিজ ২/২২, মুস্তাফিজ ০/১৭)।
ফল: রাজশাহী ৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: জাকির হাসান।
Discussion about this post