ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
রীতিমতো বিস্ময়র! তিনি দলের অধিনায়ক অথচ তাকে না জানিয়েই কীনা বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার এবং ইমরুল কায়েসকে। সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার সন্ধ্যায় সংযুক্ত আমিরাতের পথে উড়াল দেবেন তারা। এশিয়া কাপের মাঝ পথে ওপেনার সঙ্কট কাটাতে হঠাৎই দলে নেয়া হয় তাদের।
আফগানিস্তানের পর ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় দিশেহারা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শুক্রবার আচমকটা দলে নেয় সৌম্য-ইমরুলকে। অথচ ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা জানালেন, দুই ওপেনারের আসার খবর জানেনই না তিনি। তাদের অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে তার সঙ্গে কোন আলোচনাই নাকি করেনি বিসিবির কেউ!
অবশ্য চটজলদিই সিদ্ধান্তটা হয়েছে। সৌম্য ও ইমরুলও প্রস্তুত ছিলেন। শুক্রবার তারা খুলনায় চার দিনের ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে এক রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। তখনই বিসিবির এক কর্তার ফোনে খবরটা শুনে পারেন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দুবাইয়ের পথে উড়বেন দু’জন। মধ্যরাতে পৌঁছে পরের দিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেন তাদের একজন। পুরো ব্যাপারটায় অন্ধকারে ছিলেন মাশরাফি। শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে কিছুই জানিনা। আমি মাঠের ভেতর ছিলাম। এই জিনিসটা এখনো জানি না। পরিষ্কার না। আসছে যেটা বলছেন আমি এখনো নিশ্চিত না। আমার সঙ্গে আলোচনা হয়নি। আমি পরিষ্কার না।’
বাজে পারফরম্যান্সের কারণেই দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন সৌম্য ও ইমরুল। অথচ নিজেদের ফের প্রমাণ করেই ফিরলেন দল। মাশরাফী বলছিলেন ‘ওরা কিন্তু এভাবে পারফর্ম না করেই দল থেকে বের হয়েছে। আবার এসে এই ধরনের টুর্নামেন্টে আল্টিমেট প্রেসার নিয়ে! আমি জানি না ওরা টেকনিক্যালি কি কাজ করেছে।’
এদিকে পুরো বিষয়টা নিয়ে কথা বললেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান। তিনি জানান, ওপেনিংয়ে লিটন ও নাজমুল হোসেনের ব্যর্থতার জন্য ডাকা হয়েছে তাদের। তিনি বলেন ‘তামিম ইনজুরিতে পড়ার কারণে ওপেনিংয়ে নড়বড়ে অবস্থা। দুটি ম্যাচে ওপেনিং ভালো পারফরম্যান্স পাইনি। টিম ম্যানেজমেন্ট একজন ওপেনারের কথা বলেছে। আমরা ঝুঁকি না নিয়ে দুজন ওপেনারকে নিয়ে আসছি। টিম ম্যানেজমেন্ট আর বোর্ড প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে আনছি।’
Discussion about this post