ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট:
তাদের গভীর বন্ধুত্বার খবরটা সবারই জানা। অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে খেলছেন দু’জন। আর মিলটাও বেশ। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গায়নায় দুই বন্ধু গড়লেন অনন্য এক কীর্তি। রোববার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের শুরুতেই দল পড়েছিল ভয়াবহ বিপর্যয়ে। বাংলাদেশ ১ রান তুলতেই হারায় ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের উইকেট।
তখনই সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে তামিম বদলে দেন ম্যাচের দৃশ্যপট। একটু একটু করে নিয়ন্ত্রণ নেন খেলার। এই জুটিতে এক সময় এসে যায় রেকর্ড রান। সাকিব ৯৭ রানে ফিরে সাজঘরে। তখন এই জুটির গড়া হয়ে যায় ২০৭ রান। এর আগে মাত্র দুবার তাদের জুটি একশর বেশি রান করেছিল। সর্বোচ্চ ছিল ১৪৪।
দ্বিতীয় উইকেটে তামিম-সাকিবের ২০৭, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস এবং জুনায়েদ সিদ্দিকি ১৬০ রান করেন। আর সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ড্যারেন ব্রাভো ও দিনেশ রামদিন করেন ২৫৮ রান। আর মাহেলা জয়াবর্ধনে ও উপুল থারাঙ্গা করেছিলেন ২১৩ রান।
সাকিব ও তামিমের জুটি এখন তৃতীয় স্থানে। একইসঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ পেল জুটিতে দুইশর বেশি রান পেল। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটি করেন ২২৪ রান।
ম্যাচে দুই বন্ধুর হাত ধরেই রোববার ভাল পুঁজি পায় টাইগাররা। একটুর জন্য শতরান পেলেন না সাকিব। ৩ রানের আক্ষেপে মাঠ ছাড়েন তিনি।
তিনে নেমে তামিমের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন সাকিব। কিন্তু সাকিব আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন। তবে তামিম তুলে নেন শতক। শেষ অব্দি অপরাজিত থাকেন ১৩০ রানে। ক্যারবিয়দের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি পেলেন এদিন তামিম। সেঞ্চুরি পেতে এই ওপেনারের লাগে ১৪৬ বল। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের মন্থরতম শতরান।
সব মিলিয়ে এদিন বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৭৯ রান তুলেছে টাইগাররা। ম্যাচের শেষদিকে ঝড় তুলেন মুশফিকুর রহীম। শেষ ১৪ বলে ৫১ রান তুলে বাংলাদেশ। মাত্র ১১ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মুশফিক।
Discussion about this post