লন্ডনের কেনিংটন ওভালে রোববার ক্রিকেটের সেরা দ্বৈরথ। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্ধন্দী ভারত-পাকিস্তান। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় শিরোপা লড়াইয়ে নামছে বিরাট কোহলি আর সরফরাজ আহমেদরা। ৫০ ওভারের এই লড়াই শেষে জানা যাবে ট্রফি কার, ভারত নাকি পাকিস্তানের?
হ্যাটট্রিক শিরোপার হাতছানি ভারতের সামনে। ২০০২ এবং ২০১৩ সালে ভারত শিরোপা জিতেছিল। এবারের দলটাও তাদের দুর্দান্ত। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে অনায়াসে হারিয়েছে তারা। সেমিতে হারায় বাংলাদেশকে। তাইতো দলের ব্যাপারে প্রচন্ড আশাবাদী বিরাট কোহলি। রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, যুবরাজ সিং এবং ধোনি প্রস্তুত। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি বললেন, ‘পাকিস্তানের বোলিং লাইন অত্যন্ত ধৈর্য্যরে সঙ্গে খেলতে হবে হবে। পাকিস্তান যেভাবে খেলায় ফিরে এসেছে এর ফলে তাদেরকে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বলে কথা। দুই পক্ষই নিজেদের সেরা নৈপুন্য প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়ে উঠবে।’
এ পর্যন্ত ১২৮ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ভারত। যেখানে ৭২টিতে পাকিস্তান ও ৫২টিতে জিতেছে ভারত। তবে এ পরিসংখ্যান রোববারের ফাইনালে কোনো কাজে আসবে না। কেননা দল দুটির চোখে শুধুই শিরোপার স্বপ্ন।
কোয়েটার আইয়ুব ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উপমহাদেশের চির প্রতিদ্বন্ধি দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত এবং পাকিস্তান ১৯৭৮ সালের ১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো একদিনের ম্যাচে মাঠে নামে। ঐতিহাসিক সেই ম্যাচে ভারত ৪ রানে নাটকীয় জয় পায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তারপর সময়ের পথ ধরে এই লড়াই হয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে উত্তেজনাকর।
দুই দলের মধ্যে সর্বশেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি মাসের ৪ তারিখে বার্মিংহামের এজবাস্টনে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ভারত তার চির প্রতিদ্বন্ধী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৪ রানে উড়িয়ে দেয়।
ভারতের বিপক্ষে এখনো কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে জেতা হয়নি পাকিস্তানের। রোববার তা থেকে বের হতে নিশ্চয়ই চাইবে সরফরাজ আহমেদের দল। সঙ্গে ইতিহাস থেকেও তো প্রেরণা পাবে তারা।
দুই দলের ম্যাচ পরিসংখ্যান-
দেশ ম্যাচ জয় হার পরি: সাফল্য%
পাকিস্তান ১২৮ ৭২ ৫২ ৪ ৫৪.৫৪%
ভারত ১২৮ ৫২ ৭২ ৪ ৪৫.৪৫%
Discussion about this post