লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন নাঈম ইসলাম। দারুণ দাপটে তুলে নিয়েছিলেন শতরান। কিন্তু দলের জয়ের পথটা করে দিতে পারেন নি এই অলরাউন্ডার। এক লিটন দাসের কাছেই যেন ম্লান হয়ে গেল তার শতক। আবাহনীর এই তারকা ১৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। আর দল করে ৩৩৩। জবাবে লিজেন্ডসরা তুলে ২৮৪ রান।
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের বুধবারের অন্য ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতিকে ১০ উইকেটে হারাল প্রাইম দোলেশ্বর। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতল ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
বিকেএসপিতে টস জেতা আবাহনীর দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সাদমান ইসলাম। ২৮.৩ ওভারে দলীয় স্কোর বোর্ডে ২০৭ রান যোগ করেন তারা। এরপরই ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৩ বলে ৮৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাদমান।
এর আগে অন্য প্রান্তে থাকা লিটন অর্ধশতক ছুঁয়েছিলেন ৩৮ বলে। একই গতি ধরে রেখে পরের পঞ্চাশ এ ডানহাতি করেন ৪০ বলে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে যা তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে এ ডানহাতি প্রতিপক্ষের ওপর আরও চড়াও হন। শেষ পর্যন্ত ১০১ বলে ১৩৬ রানে মোহাম্মদ শরিফের বলে আউট হন তিনি। ২০টি চারের পাশে তার ইনিংসে ছক্কা ছিল তিনটি।
শেষ দিকে শুভাগত হোমের ১৩ বলে ২৩ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। তাইতো নির্ধারিত ৫০ ওভারের ১ বল আগেই ৩৩৩ রানে অলআউট হয় আবাহনী। জবাব দিতে নেমে ৪৬ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে রূপগঞ্জ। এরপরই দলটির হাল ধরেন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। মূলত তার ব্যাটে চড়ে জয়ের স্বপ্ন কিছুটা উঁকি দিয়েছিল নারায়ণগঞ্জের দলটির। চতুর্থ উইকেটে মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ১০১ ও পঞ্চম উইকেটে হামিদুল ইসলামের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়েন তিনি। এক পর্যায়ে চলতি আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম। তারপরও দলকে জিতাতে পারেনি তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে রূপগঞ্জ থামে ৬ উইকেটে ২৮৪ রানে।
রূপগঞ্জকে হারিয়ে ১০ ম্যাচে ৮ জয়ে টেবিলে দুইয়ে আছে আবাহনী। ৯ ম্যাচের ৯টিতে জিতে টেবিলের শীর্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। তিনে প্রাইম ব্যাংক। চারে প্রাইম দোলেশ্বর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আবাহনী: ৪৯.৫ ওভারে ৩৩৩ (লিটন ১৩৬, সাদমান ৮৫, শান্ত ৩৫, মনন ১৯, সাইফ ১২, মিঠুন ১৬, শুভাগত ২৩, সাইফুদ্দিন ২, অনিক ০, সাকলাইন ০, আবু জায়েদ ০*; শরিফ ৩/৬১, সাব্বির ১/৭৮, মোশাররফ ৩/৩০, আসিফ ০/৩৫, মাহমুদুল ২/৬০, আলি দার ০/৩৫, নাঈম ০/২১, জয়রাজ ০/১২)।
রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ২৮৪/৬ (হাসানুজ্জামান ১৩, জয়রাজ ১, ইয়াসির ১১, নাঈম ১২৩, রাজা আলি দার ৬, মোশাররফ ৬৭, হামিদুল ৩৭*, শরিফ ৭*; আবু জায়েদ ৩/৪৪, সাইফুদ্দিন ১/৪২, মনন ০/৪৬, অনিক ০/৫২, শুভাগত ১/৩৫, সাকলাইন ১/৫৬)।
ফল: আবাহনী লিমিটেড ৪৯ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: লিটন দাস
Discussion about this post