কাঁধের ইনজুরি থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচারই করতে হবে তাকে। আর সেটা করলে কমপক্ষে পাঁচমাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। তবে এখনো জানা যায়নি কখন ছুরির নিচে যেতে হবে মুস্তাফিজুর রহমানকে। এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে কাটার মাস্টারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
তবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নিউজিল্যান্ড সফরে মুস্তাফিজকে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেন, ‘দেখুন, নিউজিল্যান্ড সফরের আগে ফিট মুস্তাফিজকে চাই আমরা। এক সপ্তাহের মধ্যে অস্ত্রোপচার করাতে পারলে এটা সহজ হয়ে যাবে।’
এ বছরের শুরু থেকেই চোট যেন সঙ্গী হয়ে দেখা দিয়েছে মুস্তাফিজের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাঁ-কাঁধে চোট পেয়েছিলেন। সেই ধাক্কা সামলে মাঠে নামার পর এশিয়া কাপে ডান পাঁজরে চোট পেয়ে আর খেলতে পারেনি কাটার মাস্টার।এরপর গত মে মাসে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে হ্যামস্ট্রিং ও অ্যাঙ্কেলে চোট নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
তারপরই শুরু হয় বিসিবি চিকিৎসকদের পরামর্শে পুনর্বাসন। তাই খেলা হয়নি ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি খেলতে ইংল্যান্ডে যান এই পেসার। সেখানে গিয়েও চোটে পড়েন।
বিষয়টা নিয়ে অবশ্য উগিগ্ন নয় বোর্ড। কেননা, ফাস্ট বোলারদের নিত্য সঙ্গী ইনজুরি, ‘আসলে খেলোয়াড়ি জীবনে আমিও ফাস্ট বোলার ছিলাম। চোটে পড়াটা একজন পেসারের জন্য স্বাভাবিক ঘটনা। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সবচেয়ে বড় কথা, নতুন যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, এটি নিয়ে মুস্তাফিজ নিজেও কোনো অভিযোগ করেনি ।’
তবে এটা সত্য যে বড় একটা সময় মাঠের বাইরে চলে গেলেন দ্য ফিজ।
Discussion about this post