মৃত্যু অনিবার্য। জন্মের পরই নিশ্চিত হয়ে যায় একদিন চলে যেতেই হবে না ফেরার দেশে। কিন্তু তাই বলে এতো আগে। তার অন্য সতীর্থরা যখন চুটিয়ে ধারাভাষ্য কক্ষ মাতাচ্ছেন, কেউ বা আবার ব্যস্ত অন্য পেশায় তখন নিউজিল্যান্ডের সাবেক কিংবদন্তি মার্টিন ক্রো চলে গেলেন। অবশ্য দুরারোগ্য লিম্পোমা রোগে ভুগছিলেন সেই ২০১২ সাল থেকে। সেই রোগে ভুগতে ভুগতেই বৃহস্পতিবার বিদায় নিলেন ক্রো। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, ডাক্তাররা জানিয়েছেন তিনি আর নেই।’
১৯৮২ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলে খেলতে শুরু করেন তিনি। এরপর সময়ের হাত ধরে হয়ে উঠেন দলের সেরা ক্রিকেটার। মার্টিন ক্রো রেকর্ড ১৭টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন। যার মধ্যে ২৯৯ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস রয়েছে। ১৯৯২ বিশ্বকাপে মার্টিন ক্রোর নেতৃত্বেই বিশ্বকে চমকে দেয় কিউইরা। সেমি-ফাইনালে উঠে যায় দল।
ইনজুরির কারণে ১৯৯৫ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে বাধ্য হন এই কিউই কিংবদন্তি। এরপর জড়িয়েছিলেন টেলিভিশন ধারাভাষ্যে।
১৩ বছরের ক্যারিয়ারে ৪৫.৩৬ গড়ে ৫ হাজার ৪৪৪ রান করেছেন মার্টিন ক্রো। ১৭টি ইনিংসে করেছেন শতক। ১৬ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দেওয়া ক্রো ১৯৯১ সালে ওয়েলিংটনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৯৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এটিই তার সেরা ইনিংস। ওয়ানডেতে ১৪৩ ম্যাচে ৩৮.৫৫ গড়ে করেন ৪ হাজার ৭০৪ রান।
Discussion about this post