ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএলে) আগের ম্যাচে তাকে নামানো হয়েছিল নয় নম্বরে। তখন আর কিছুই করার ছিল না। কিন্তু এবার ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ নম্বরে নেমেই তার ব্যাটে রীতিমতো টর্নেডো। চার-ছক্কার বাহারি মার। আর এরই পথ ধরে মাত্র ১১ বলে তার ব্যাটে অপরাজিত ২৮। দলও পেল দুর্দান্ত এক জয়। সোমবার (বাংলাদেশ সময়) জ্যামাইকা তালাহওয়াসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস।
এই জয় দিয়েই সিপিএলৈর প্লে অফ পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে সেন্ট কিটস।
মাহমুদউল্লাহ এদিন যখন নামেন তখন দলের জিতে প্রয়োজন ২৩ বলে ৪৭। সেই সময়ই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে দেখিয়ে দেন যোগ্যতার পরিধি। হয়ে যান জয়ের অন্যতম কারিগর।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিপিএলের এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামে জ্যামাইকা। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দলটি করে ২০৬ রান। পাহাড়সম সংগ্রহ। এরপর পাল্টা জবাব দিতে নেমে সেন্ট কিটস ৬.৩ ওভারে ১ উইকেটে ৬৫ রান তুলতেই বৃষ্টির বাধায় খেলা আটকে যায়।
এরপর খেলা শুরু হতেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। মাহমুদউল্লাহর সেন্ট কিটসের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১ ওভারে ১১৮ রান। এর অর্থ জিততে তখন চাই ৪.৩ ওভারে ৫৩।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই ক্রিস গেইলের ছক্কা। কিন্তু টিকতে পারেন নি তিনি। ২৪ বলে ৪১ রান ফিরে যান এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। শেষ ৩ ওভারে সেন্ট কিটসের জিততে দরকার ৪৩ রান।
তখনই মাহমুদউল্লাহ ও ফন ডার ডুসেনের ব্যাটে জয়ের পথ খুঁজে পায় সেন্ট কিটস। বোলার ওশান টমাসের ওভারে দু’জন তুলেন ২৭ রান। এরপরের ওভারে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পাকে ছক্কা হাঁকিয়ে মাহমুদউল্লাহ দলকে জয়ের আরো কাছে নিয়ে যান।
এরপর এভাবেই ব্যাট চালিয়ে সেন্ট কিটসকে ৫ বল আগের দারুন এক জয় এনে দেন তারা দু’জন। ২৪ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত সেন্ট কিটসের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ফন ডার ডুসেন। দুটি করে চার ও ছক্কায় ১১ বলে ২৮ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তারও আগে জ্যামাইকান ব্যাটসম্যানরা ব্যাটে ঝড় তুলেন। ৪০ বলে ৮৪ রান আসে রভম্যান পাওয়েলের ব্যাটে। গ্লেন ফিলিপস ২৯ বলে ৪০, ডেভিড মিলার ২০ বলে ৩২ করেন।
এ অবস্থায় মাহমুদউল্লাহর সিপিএল শেষ হয়ে এসেছে। এশিয়া কাপ খেলতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এই ওপেনার। এর আগে সেন্ট কিটসের হয় আরো একটি ম্যাচ খেলবেন। তারপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন রিয়াদ।
Discussion about this post