আগের দিনই ১১ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তারপরও কিছুটা আশা তো বেঁচেই ছিল। শেষ দিনে ২৬৩ রান, কঠিন লক্ষ্য, তবে মিশন ইমপসিবল নয়। কিন্তু জয় দূরে থাক-এমন ভরাডুবি হবে কে জানতো? ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ। আর দল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারল ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে।
সোমবার ডারবানে শুধু হতাশাই সঙ্গী হয়েছে। দল হারিয়েছে একের পর এক উইকেট। এদিন ৫৫ মিনিটে সব শেষ।
এদিন সকাল থেকেই ছিল উইকেট পতনের মিছিল। স্পিনার কেশভ মহারাজের স্পিনেই সর্বনাশ। ১৭ বলে ১৪ রান করে তাসকিন আহমেদ ফিরতেই সবশেষ। বাঁহাতি স্পিনার কেশভ নেন ৩২ রানে ৭ উইকেট।
সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের বিকেলে বাংলাদেশ ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল। এরপর সোমবার পঞ্চম দিনে এক ঘন্টাও খেলা হয়নি। এরমধ্যে অনেকটা একাই লড়েন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৬ রান করেন তিনি। ১৪ রান করেন তাসকিন। অন্য কোনো ব্যাটসম্যান ৫ রানের বেশি তুলতে পারেন নি!
কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মার গুটিয়ে দেন বাংলাদেশের ইনিংস। দুই বোলার মিলে পূর্ণাঙ্গ ইনিংস শেষ করে দেওয়ার কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে এবার নিয়ে ২৮ বারের মতো দেখা গেল। বাংলাদেশের ম্যাচে এমন ঘটনা হলো প্রথমবার।
অবশ্য একদিন থেকে রক্ষা এটি বাংলাদেশের সর্বনিম্ম সংগ্রহ নয়। ২০১৮ সালে অ্যান্টিগায় ৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এবার নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের অপ্রিয় রেকর্ড গড়ল মুমিনুল হকের দল। একইসঙ্গে ওভারের হিসেবে এটি দ্বিতীয় ক্ষণস্থায়ী ইনিংস। অ্যান্টিগায় দল অলআউট হয় ১৮.৪ ওভারে। এবার ১৯ ওভার খেলল দল।
পাশাপাশি চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান এটি। আগের সর্বনিম্ন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৮ সালে পচেফস্ট্রুমে ৯০।
এই ধাক্কা সামলে উঠার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশ দলের। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে আগামী ৮ এপ্রিল, পোর্ট এলিজাবেথে। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর সফরটা ভাল করে শেষ করার লক্ষ্য নিশ্চয়ই থাকবে মুমিনুল হকের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩৬৭/১০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৯৮/১০
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৭৪ ওভারে ২০৪ (এরউইয়া ৮, এলগার ৬৭, পিটারসেন ৩৬, বাভুমা ৪, রিকেলটন ৩৯*, ভেরেইনা ৬, মুল্ডার ১১, মহারাজ ৫, হার্মার ১১, উইলিয়ামস ০, অলিভিয়ের ০; খালেদ ১৩-১-৩৩-০, মিরাজ ৩৫-৬-৮৫-৩, শান্ত ১-০-৩-০, ইবাদত ১৩-১-৪০-৩, মুমিনুল ১-১-০-০, তাসকিন ১১-১-২৪-২)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৯ ওভারে ৫৩/১০ (আগের দিন ১১/৩) (শান্ত ২৬, মুশফিক ০, লিটন ২, ইয়াসির ৫, মিরাজ ০, তাসকিন ১৪, খালেদ ০, ইবাদত ০*; মহারাজ ১০-০-৩২-৭, হার্মার ৯-৩-২১-৩)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ২২০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : কেশভ মহারাজ
Discussion about this post