ক্যারিয়ারে দারুণ দুঃসময়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। মনে হচ্ছিল হারিয়েই যাবেন মুমিনুল হক। দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে গিয়েছিল ঠিক তখনই ঘুরে দাঁড়ালেন এই ব্যাটার। শুক্রবার ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেলেন শতরান। টেস্ট ক্রিকেটে আগেও ১১টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তবে এবারেরটি অন্যরকম। টেস্ট ক্যারিয়ারের দীর্ঘতম খরার পর শতরান পেলেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে সবশেষ শতক পান। সেই ইনিংসের পর ২৬ মাস হতে চলেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে যখন ব্যর্থ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেই সফল। ২৬ মাস শেষে পেলেন শতক।
শুক্রবার টেস্টের তৃতীয় দিনে ৬৬১ রানের লিড নিয়ে যখন ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ, মুমিনুল তখন অপরাজিত ১২১ রানে। স্ট্রাইক রেট ৮৩.৪৪। ১৪৫ বলের ইনিংসে চার ১২টি, ছক্কা ১টি।
সেঞ্চুরি ছাড়া ২৬ ইনিংসে তার ফিফটি ছিল মাত্র ৩টি। শ্রীলঙ্কায় ওই শতরানের ৩ ইনিংস পরই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে করেন ৭০। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে ৮৮ রান। তারপর টানা ৯ ইনিংসে ব্যর্থ!
আফগানদের বিপক্ষে চলতি টেস্টের এবার প্রথম ইনিংসে উইকেটে ৪০ মিনিট লড়ে মুমিনুল আউট ১৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রত্যাশার চাপ নিয়ে সফল। মুমিনুলের র প্রথম ১৪ টেস্টের ১৩টিতেই কোনো না কোনো ইনিংসে ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। ৪৩ টেস্টেই তিনি করে ফেলেন ১১ সেঞ্চুরি। ৪৩ টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১১ সেঞ্চুরি করে ফেলা মুমিনুল ৫৭তম টেস্টে এসে পেলেন ১২ তম শতরানের দেখা।
Discussion about this post