সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচ। ডাম্বুলায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। শুরুটা একেবারেই স্বপ্নের মতো হয়নি বাংলাদেশের। কিন্তু লিটন দাস ও শামীম হোসেনের ব্যাটে রং ফিরে পায় ইনিংস। একসময় যেখানে মনে হচ্ছিল ১৫০-ও দূরের পথ, সেখান থেকে লড়াইয়ের মতো সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
দলের স্কোর যখন মাত্র ৭, তখন দুই ওপেনার-পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম-দুজনই সাজঘরে। প্রথম বলেই শূন্য রানে বিদায় নেন ইমন, দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন তানজিদ। এমন বিপর্যয়ের পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়, সঙ্গে ছিলেন লিটন দাস। সেই চাপ সামলে ৩য় উইকেটে গড়েন ৬৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
লিটন ধীর সূচনায় ইনিংস শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের ছন্দে ফেরেন। তুলে নেন ১৩ ইনিংস পর কাঙ্ক্ষিত ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৭৬ রানের এক হৃদয় ছোঁয়া ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। অন্যদিকে, হৃদয় করেন ২৫ বলে ৩১ রান।
মাঝে এক পর্যায়ে আবার উইকেট পতনের ধাক্কা আসে-মেহেদী মিরাজ দ্রুত ফেরেন, জাকের আলীও সুবিধা করতে পারেননি। তবে শামীম হোসেন ছিলেন আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক। ২৭ বলে খেলেন ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস, যার মধ্যে ছিল চমৎকার সব বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি।
শেষ ওভারে রানআউট হয়েও বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৭৭ রানে, যেখানে শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২ বলে করেন ৬ রান। পুরো ইনিংসে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা লেখা হয় মূলত লিটন ও শামীমের ব্যাটে ভর করেই।
শ্রীলঙ্কার হয়ে বল হাতে সফল ছিলেন বিনুরা ফার্নান্দো-৩১ রানে ৩ উইকেট। থিকশানা ও থুসারা তুলে নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৭/৭ (লিটন ৭৬, শামীম ৪৮, হৃদয় ৩১; ফার্নান্দো ৩/৩১)
Discussion about this post