ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম দুটি লঙ্গার ভার্সন ম্যাচে পারফরম্যান্স একেবারে মন্দ ছিল না। ড্রয়ের তৃপ্তি নিয়ে ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামে দল। কিন্তু কে জানতো এখানে এমন কিছু অপেক্ষায়। রীতিমতো হতাশ করা পারফরম্যান্স। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু যেন সারলেন। মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ‘এ’ দলের পেসারদের তোপে মাত্র ৮০ রানে অলআউট মিঠুন, সৌম্য, সাব্বিররা।
এরপর জবাব দিতে নেমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও মুকিদুল ইসলামের বোলিংয়ে কিছুটা হলেও স্বান্তনা পায় দল। শেষ অব্দি ৪ উইকেটে প্রথম অনানুষ্ঠানিক ওয়ানডে জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল।
সেন্ট লুসিয়ায় এদিন ১০০ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ ২৩.২ ওভারে অলআউট। সংগ্রহটা একশর চেয়ে কম। তার জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানরা জয় তুলে ঠিক ২৩.২ ওভারে।
ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটে কিছুই করতে পারেন নি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। অথচ দল বেশ শক্তিশালীই ছিল। নাঈম শেখ ফেরেন কোন রান না করেই। অভিজ্ঞ সৌম্য সরকারের ব্যাটে ১৫। চারদিনের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাইফ হাসান ফেরেন ৬ রানে। মাহমুদুল হাসান জয় ৪ ও সাব্বির রহমান যিনি এশিয়া কাপের দলে আছেন তার ব্যাটে ৩ রান।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টি বৃহস্পতিবার, একই মাঠে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ‘এ’ দল : ২৩.২ ওভারে ৮০ (নাঈম শেখ ০, সৌম্য ১৫, সাইফ ৬, মিঠুন ১২, জয় ৪, সাব্বির ৩, জাকের ২৫, মৃত্যুঞ্জয় ০, নাঈম ০, রকিবুল ৫, মুকিদুল ১*; ফিলিপ ৫-২-১৫-২, লুইস ৪.২-০-২৪-২, গ্রিভস ৭-০-২৫-৪, ম্যাকসুইন ৪-০-১০-১, স্প্রিঙ্গার ৩-০-৪-১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল: ২৩.২ ওভারে ৮১/৬ (চন্দরপল ২৩, জশুয়া ১৭, বিশপ ০, ইমলাক ৫, আথানেজ ১৯, স্প্রিঙ্গার ৩, গ্রিভস ৬*, চার্লস ৩*; মুকিদুল ৭.২-০-৩৩-২, মৃত্যুঞ্জয় ৭-০-২৪-২, রকিবুল ৬-০-১৬-১, নাঈম ২-০-৬-০, সৌম্য ১-০-২-১)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ ৪ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ ১-০তে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: জাস্টিন গ্রিভস।
Discussion about this post