ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
কিছুতেই ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ দল। যার সবশেষটা টাইগাররা দেখাল শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। যে কারণে মাত্র ১০৮ রানেই থেমে গেছে মাহমুদউল্লাহদের ইনিংস। জয়ের জন্য তাই পাকিস্তান পেয়েছে সহজ লক্ষ্যমাত্রা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আগের দিনের মতই এদিন শুরুতেই ফিরে যান দুই ওপেনার। তবে তৃতীয় উইকেটে দারুণ খেলার আভাস দেন আফিফ ও নাজমুল হোসেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অলস শটে ফেরেন আফিফ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও বিলিয়ে দেন নিজের উইকেট। তবে নাজমুল ছিলেন দারুণ। বেশ সাবলিন খেলছিলেন এ ব্যাটার। তারপরও দলের রান খুব একটা বাড়েনি। তিনি করেন মাত্র ৪০ রান। তাই স্বাগতিকরা কোন রকমে পার করে একশ রানের গন্ডি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা করে ৭ উইকেটে ১০৮ রান।
শনিবার শুরুতেই ফেরেন সাইফ। এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি নাইমও। তিনি সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে আউট হওয়ার আগে ২ রান করেন নাইম। তবে শান্ত ও আফিফ খেলেন দারুণ। কিন্তু পাওয়ার প্লের পরেই যেন খেঁই হারিয়ে বসেন আফিফ। শাদাবের স্ট্যাম্পের ওপর করা ডেলিভারি আগেই রিভার্স প্যাডেলের জন্য ব্যাট দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। খানিক ধীরে আসা সেই বল লাগে আফিফের ব্যাটের কানায়। যার ফলে খানিক হাওয়ায় ভেসে সেটি জমা পড়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিশ্বস্ত গ্লাভসে, বিদায়ঘণ্টা বাজে আফিফের ২০ রানের ইনিংসের। একই ওভারে স্কুপ করতে গিয়ে প্যাডে লেগেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। আউটও দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন টাইগার অধিনায়ক।
অবশ্য সে যাত্রায় বাঁচলেও একবারের জন্যও সাবলীল মনে হয়নি মাহমুদউল্লাহকে। বেশ কয়েকবার অল্পের জন্য বেঁচে যান। শেষ পর্যন্ত হারিস রউফের করা ১৩তম ওভারে অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে আউট হন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১২ রান।
অধিনায়ক ফিরে গেলেও আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন তিন নম্বরে নামা নাজমুল শান্ত। ততক্ষণে পাঁচ চারের মারে ৪০ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর আর বাড়েনি শান্তর সংগ্রহ। শাদাবের করা ১৪তম ওভারে দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়েছেন তিনি। পরে আর নিজেদের খুব বেশি দুর টেনে নিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহানরা। যে কারণে ১০৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এদিকে আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।
Discussion about this post