ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দুঃসময়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ফ্লপ। এরপর দেশের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতেও ছিল হতাশ করা পারফরম্যান্স। সমালোচনার তোপে দাঁড়িয়ে ঠিকই জবাব দিলেন লিটন কুমার দাস। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে প্রথম দিনই কথা বলল তার ব্যাট। শতরানে ফিরে এলেন তিনি। তুলেিনিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি!
এর আগে শতকের কাছে গিয়েও ফিরেছেন দুবার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই চট্টগ্রামে ২০০১৮ সালে করেন ৯৪ রান। আর এ বছর হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৫। এবার আর সুযোগ হাতছাড়া করলেন না। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনই পাকিস্তানের বিপক্ষে পেয়ে গেলেন তিন অঙ্কের দেখা।
লিটন ৯৫ বলে করেন ফিফটি, সেঞ্চুরি তুলেন ১৯৯ বলে। দেখার মতো এক ইনিংস। ঠান্ডা মাথায় দেখে-শুনে খেললেন। বুঝিয়ে দিলেন তিনি ঠিকই বড় ইনিংস খেলতে জানেন। চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মন জয় করলেন তিনি। টস হেরে অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তটা করে তুলেন যৌক্তিক।
এদিন দলের বিপাকে ধরলেন হাল। নাজমুল হাসান শান্ত যখন দিনের প্রথম সেশনে ফিরতেই দল বিপাকে। তখন বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪৯। তখনই মুশফিককে সঙ্গে খেলতে থাকেন দারুণ এক ইনিংস। ৯৯ থেকে ১০০ রানে যেতে বেশ তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলীর বল আলতো টোকায় মিড অফে পাঠিয়ে দিলেন দৌড়। তারপর ফিল্ডিংয়ে থাকা শাহীন শাহ আফ্রিদি বল ধরেই থ্রো করলেন। এরমধ্যে ডাইভও দিয়ে জায়গায় পৌঁছে গেলেন লিটন। ব্যস, শতক!
১৯৯ বলে সেঞ্চুরিতে পা রাখলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ১০ চার ও ১ ছক্কা। আলোক স্বল্পতায় দিনের ৫ ওভার বাকি থাকতেই শেষ হয় খেলা। মুশফিক-লিটনের ২০৪ রানের জুটিতে টেস্টের ১ম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান। মুশফিক ৮২ ও লিটন ১১৩ রানে অপরাজিত।
Discussion about this post