ওয়ানডে সিরিজে যারপরনাই ব্যর্থ। তিন ম্যাচের তিনটিতেই হার। হোয়াইটওয়াশ। এরপর বৃষ্টিতে পন্ড একমাত্র টি-টুয়েন্টি। অবশ্য তারপরই দেখা মিলল আশার আলো। তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেলেন ব্যাটসম্যানরা। সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া আÍবিশ্বাসের খানিকটাও ফিরে এলো। সেই মনোবল নিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুক্রবার দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি খেলতে বাংলাদেশ।
কিংসটাউনের আর্নেস ভ্যালে স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।
এই মাঠের সঙ্গে ভাললাগা এক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই এখানেই বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট জিতেছিল। অবশ্য তখনকার আর আজকের ওয়েস্ট ইন্ডিজ এক নয়। সেবার ধর্মঘটে গিয়েছিলেন ক্রিস গেইলসহ জাতীয় দলের সব ক্যারিবিয় ক্রিকেটার। এই সুযোগে সেই দলের বিপক্ষে দুটি টেস্টই জেতে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজেও দাপট দেখায় দল।
কিন্তু এবার সেই দলটা আর নেই। তারকা আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটারে ঠাসা দল। ক্রিস গেইল, শিবনারায়ণ চন্দরপল, ড্যারেন ব্রাভো, দিনেশ রামদিনের মতো ক্রিকেটাররা আছেন দলে। এমন একটা দলের বিপক্ষে শুক্রবার বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট অভিষেক হতে পারে তাইজুল ইসলামের।
এদিকে আজ টেস্ট দলের কোচ হিসেবে অভিষেক হচ্ছে চন্ডিকা হাতুরাসিংহের। তার আগে বাংলাদেশ কোচ শোনালেন নিজেদের লক্ষ্যের কথা, ‘আমাদের বাস্তবিক লক্ষ্যটা হল খেলা ড্র করা। যদি আমরা ভালো খেলতে পারি। ভালো ব্যাটিং করতে পারি। তবে ম্যাচে থাকতে পারব। আমাদের বোলিং সম্পদ সীমিত। এমন অবস্থায় আমাদের অবশ্যই লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করতে হবে। ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়াতে হবে। ম্যাচে টিকে থাকতে হলে বড় রান করতেই হবে আমাদের।’
এই ম্যাচে বাংলাদেশ মিস করবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসের ১৫ তারিখে। সন্দেহ নেই রীতিমতো বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে মুশফিকুর রহীমের দলের জন্য।
Discussion about this post