জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি চট্টগ্রাম বিভাগ। ম্যাচের শুরু থেকেই তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন একের পর এক ধস নামিয়েছে। প্রথম ইনিংসে সিলেটের ২৫৫ রানের জবাবে চট্টগ্রাম গুটিয়ে যায় মাত্র ১১০ রানে। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটকে ২০৭ রানে থামিয়ে স্বল্প আশার আলো দেখিয়েছিল দলটি, তবুও ৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাদের জন্য হয়ে দাঁড়ায় অসম্ভব এক পাহাড়।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবারও দুঃস্বপ্নের ব্যাটিং প্রদর্শন করেন চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। ২০৫ রানে অল আউট হয়ে তারা হারের ব্যবধান দাঁড় করায় ১৪৭ রানে। শুরুতেই শূন্য রানে বিদায় নেন সাদিকুর রহমান। কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও জসিম উদ্দিন (২৫) এবং জিল্লুর রহমান (২৭) ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬০ রানের অসাধারণ অপরাজিত ইনিংস খেলেন শাহাদাত হোসেন দিপু, কিন্তু সঙ্গের অভাবে তার প্রয়াস যথেষ্ট হয়নি। ইরফান শুক্কুরের ৩৭ রান ছাড়া উল্লেখযোগ্য অবদান আর কারও ব্যাটে ছিল না। শেষ চার ব্যাটার দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ফিরলে চট্টগ্রামের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে।
সিলেটের বোলিং আক্রমণ আবারও ছিল আগ্রাসী। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করা আবু জায়েদ রাহি দ্বিতীয় ইনিংসেও তুলে নেন চার উইকেট। রেজাউর রহমান রাজা নেন তিনটি উইকেট, আর একটি করে শিকার করেন মহিউদ্দিন তারেক ও শাহানুর রহমান। সকালে ৬ উইকেটে ১৯৩ রানে দিন শুরু করে সিলেট; অপরাজিত অমিত হাসান মাত্র এক রান যোগ করেই আউট হন।
শেষদিকে শাহানুর রহমান করেন ১৩ রান, তবে শেষ চার ব্যাটার দ্রুত বিদায় নিলে সিলেট থামে ২০৭ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে ইরফান হোসেন ও নাইম হাসান ভাগাভাগি করে নেন দশটি উইকেট।
অন্য ম্যাচে ব্যাটে–বলে চমৎকার লড়াই উপহার দিয়েছে খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগ। সৌম্য সরকারের সেঞ্চুরিতে ভর করে খুলনা প্রথমে অল আউট হয় ৩৮৭ রানে। জবাবে সমানতালে প্রতিরোধ গড়ে ময়মনসিংহও তিন দিনের খেলায় করে ৭ উইকেটে ৩৮৭ রান। ১৭০ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি দিনশেষে কার্যত খুলনার সমান রানেই দাঁড়িয়ে যায়।
আজিজুল হাকিম তামিম ৮১ রান করে সেঞ্চুরি মিস করেন, কিন্তু তার ইনিংস ছিল ইনিংসের মেরুদণ্ড। আল আমিন জুনিয়র ৬২ রানে অপরাজিত, তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ৫৯ রানে অবিচল আরিফ আহমেদ। খুলনার হয়ে সফর আলী তিনটি, সামিউন বশির রাতুল দুটি এবং পারভেজ জীবন–জিয়াউর রহমান একটি করে উইকেট নেন।
তৃতীয় দিনের শেষে দুই দল সমান রানে দাঁড়িয়ে থাকায় ম্যাচের গতি এখন অনেকটাই অনিশ্চিত। ময়মনসিংহের হাতে এখনও তিন উইকেট রয়েছে; এখন দেখার বিষয় তারা কত রানের লিড নিয়ে খুলনার সামনে লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারে।










Discussion about this post