ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দেশের হয়ে ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শুরুতে খেলার সুযোগ পাননি। কিন্তু শেষ দিকে নেমেই ব্যাট-বলে ঝড় তুলেন সাকিব। ফাইনালে ঝড় তুলতে না পারলেও তার দল ঠিকই তুলে নিয়ে অনায়াস জয় ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতেছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে ফাইনালে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে অনায়াসেই হারাল সাকিবের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২৭ রানে গায়ানা আমাজনকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে দল। এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সিপিএল ট্রফি জিতেছে বার্বাডোজ।
টাইগার ক্যাপ্টেন সাকিবও এবার নিয়ে দ্বিতীয়বাবের মতো পেলেন সিপিএল ট্রফি জয়ের তৃপ্তি। ২০১৬ সালে জ্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে প্রথমবার শিরোপা জেতেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে বার্বাডোজ করে ১৭১ রান তুলে। জবাব দিতে নেমে শোয়েব মালিকের দল গায়ানা ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তুলে ১৪৪ রান। টানা ১১ ম্যাচ জিতে ফাইনালে এসেছিল গায়ানা। কিন্তু সাকিবদের সঙ্গে পারল না!
তবে সাকিব ফাইনালে চেনা যায়নি সাকিবকে। শুরুতে ১৫ বলে তুলেন ১৫ রান। এরপর বল হাতে ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য।
যদিও ম্যাচে প্রথম ব্যাট করতে নেমে বার্বাডোজ দুর্দান্ত খেলেছে। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ বলে ১৫ করেন সাকিব। এরমধ্যে জোনাথন কার্টার ২৭ বলে করেন ৫০ রান। ৩৯ রান তুলেন জনসন চার্লস। তারপর জবাবে নেমে গায়ানা থামে ১৪৪ রানে। সাকিব নিজের প্রথম ওভারে ৫ রান দেন। এরপর দ্বিতীয় ওভারে দিলেন ১৩ রান।
তবে সব মিলিয়ে অবশ্য এবারের সিপিএলটা মন্দ কাটেনি সাকিবের। এবারের সিপিএলে ৬ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ১৮.৫ গড়ে করেন ১১১ রান। বল হাতে ১৫০ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
Discussion about this post