ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইমরুল কায়েস, এনামুল হক, বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান, ফরহাদ রেজা, আবু জায়েদ রাহি, শফিউল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি, দলে তারকা ক্রিকেটারের কমতি নেই। তারপরও আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হার। দেশের মাঠে কিছুই করতে পারছেন না ইমরুলরা।
আফগানদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের দু’টিতেই হেরে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন স্বাগতিক দল। দলের যখন এই অবস্থা, তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকরাও চিন্তিত। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কাছ থেকে যতটুকু প্রত্যাশা ছিল, প্রাপ্তির খাতায় তার ধারেকাছেও ছিলনা। বিপরীতে আফগানদের ব্যাপারে যা ভেবেছেন, তার চেয়েও ভালো ক্রিকেটে খেলেছে তারা।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘এটা অবশ্যই বিব্রতকর। তবে দুশ্চিতা বেশি। ওরা কিন্তু ভালো দল। তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। ভালোভাবে প্রয়োগও করেছে। আফগানিস্তানের এই গ্রুপটা আশার চেয়েও বেশি ভালো খেলেছে। আমাদের দলে যারা আছে তারাও ভালো ক্রিকেট খেলে আসছিল। এটার ব্যাখ্যা দেয়া মুশকিল।’
‘এ’ দলের চারজন ক্রিকেটার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে খেলবেন। আফগান এই দলের বিপক্ষে ঘরোয়া কন্ডিশনে যদি তাদের এই হাল হয়, তাহলে লঙ্কান মাটিতে কি করবেন তারা? প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই উঠতে পারে।
হতাশাজনক পারফর্মেন্স বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন বাশার। সিরিজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ‘এ’ দল নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী একটি ম্যাচেও খেলতে পারেনি। প্রথম চারদিনের ম্যাচটিতে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করতে সক্ষম হলেও সিরিজ হারতে হয়েছে তাদের। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে মোহাম্মদ মিঠুনের দল হেরে যায় ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটের হারে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করলেও ‘এ’ দলে নিজেদের পরীক্ষাটা ভালোভাবে দিতে পারেনি বলে মনে করেন বাশার। তারা নিজেদের প্রমাণ না করতে পারায় হতাশ বিসিবির এই নির্বাচক, ‘দ্বিতীয় সারিব একটি দল হিসেবেই ‘এ’ দলকে বিবেচনা করা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকসময় আমরা অনেক সময় বিচার করতে পারি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকেই ভালো খেলে। ‘এ’ টিমে আসলে তাদের পরীক্ষাটা ভালো হয়। দু:ভাগ্যবশত এই পরীক্ষাটা কেউ ভালো দিতে পারেনি।’
অথচ ক্রিকেটাররা বেশ সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। বাশার বলছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা উদ্বিগ্ন। তবে এদের তো খেলাতে হবে। না খেললে বুঝব কী করে ওরা তৈরি। যাদের নিয়ে এগোব, তাদের না খেলালে বুঝতে পারব না এরা পরের ধাপের জন্য তৈরি। আমাদের বসে ভাবতে হবে কোথায় গলদ হচ্ছে। কোচেরা কাজ করছেন, এখন আগের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা অনেক বেড়েছে। কেন তবুও তারা ভালো করতে পারছে না, আমাদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে।’
Discussion about this post