ব্যাটিং স্বর্গে কি করে ব্যাট করতে হয়, সেটাই যেন বাংলাদেশ দলকে শেখালেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। হাশিম আমলা আর কুইন্টন ডি কক ব্যাটেই লেখা হল টাইগারদের ব্যর্থতার নতুন এক গল্প। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এটিই বিনা উইকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড। লজ্জার এই হার সঙ্গী হল মাশরাফি বিন মর্তুজাদের।
এর আগে মুশফিকুর রহীমের সেঞ্চুরিতে বেশ লড়েছিল বাংলাদেশ। কিম্বার্লির ডায়মন্ড ওভালে রোববার অবশ্য দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ। তারপরও মুশফিকের সেঞ্চুরিতে দল তুলে ২৭৮ রান। জবাব দিতে নেমে আমলা-ডি ককের ব্যাটিংয়ে ৪২.৫ ওভারে বিনা উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ তাদের সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছিল। ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে করেছিল ৮ উইকেটে ২৫১ রান। রোববার ১১৬ বলে মুশফিক খেলেন ১১০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ১০৮ বলের ইনিংসে শতরান করতে খেলেন দুটি ছক্কা ও ১০ চার। এটি মুশফিকের ওয়ানডেতে পঞ্চম শতরান।
দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহটা আসে ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। ৩১ রান করেন তিনি। সাকিব আল হাসান করেন ২৯ রান। এই রান করার পথে ওয়ানডেতে ৫ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যান। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ‘ডাবল’ ছুঁতে লেগেছে মাত্র ১৭৮ ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ২২১ ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন। তার রেকর্ড ভাঙ্গলেন সাকিব।
এরপর জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডও গড়েন আমলা ও কক। দু’জন করলেন ২৮২ রান। ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ১৬৮ রান। আমলা করেন ১১০ রান।
এই হারের পর আগামী বুধবার বোল্যান্ড পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭৮/৭ (ইমরুল ৩১, লিটন ২১, সাকিব ২৯, মুশফিক ১১০*, মাহমুদউল্লাহ ২৬, সাব্বির ১৯, নাসির ১১, সাইফ উদ্দিন ১৬; রাবাদা ৪/৪৩, তাহির ১/৪৫, প্রিটোরিয়াস ২/৪৮)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪২.৫ ওভারে ২৮২/০ (ডি কক ১৬৮, আমলা ১১০)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১০উইকেটে জয়ী
Discussion about this post