তিনি এখনো ক্রিকেটকে গুডবাই জানান নি। এনিয়ে সরাসরি কিছু বলেনও নি। এরমধ্যে ইঙ্গিত মিলছিল-ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ দিয়েই মাঠে ফিরতে পারেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু সোমবার শুরু এই লিগে দেখা মিলল না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ককে।
লিগের প্রথম পর্বে তিনি খেলছেন না। সব ঠিক থাকলে খেলতে পারেন আসরের শেষ দিকে।
অবশ্য এখন ক্রিকেটের চেয়ে সামাজিক কাজেই বেশি ব্যস্ত মাশরাফি। তিনি যে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য। নিজ এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন ও এলাকার মানুষের কাছে যাচ্ছেন। তারই নানা ভিডিও ক্লিপ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
এ অবস্থায় টি-টুয়েন্টি সংস্করণে এবারের ঢাকা লিগে মাশরাফির খেলার কথা ছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে। কিন্তু মাশরাফি গণমাধ্যমে বলেন লিগে খেলার মতো অবস্থায় আপাতত নেই তিনি।
মাশরাফি বলেন, ‘এক সময় যখন টানা খেলার মধ্যে থাকতাম। বিরতিতে থাকলেও লিগ শুরুর বেশ আগে জানতে পেরে প্রস্তুতি নিতাম। এখন তো পরিস্থিতি অন্যরকম। অনেকটা হুট করেই জানতে পেরেছি, লিগ শুরু হচ্ছে। এরপর যেটুকু সময় ছিল, প্রস্তুতির সুযোগ হয়ে ওঠেনি নানা ব্যস্ততায়। প্রস্তুতি ছাড়া লিগ খেলতে চাইনি আমি।’
অনুশীলনের ঘাটতি আর শারীরিক প্রস্তুতির কারণে নেই মাশরাফি। এইতো গত ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টিতে খেলেন তিনি। টুর্নামেন্টে বেশ কার্যকর বোলিং করেন। ৪ ম্যাচ খেলে একটিতে পাঁচ উইকেট নেন। এরপরও অবশ্য জাতীয় দলে ডাক মেলেনি।
সেব ভাবছেন না মাশরাফি। করোনার কারণে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে ঢাকা লিগ খেলার মানসিক ধকল নেওয়ার পরিকল্পনা নেই তার। বলেন, ‘দেখুন, বায়ো-বাবলের ব্যাপারটিও আছে। এখনকার অবস্থায় ২০-২২ দিন হোটেলে বাবলে থাকার মানসিকতায় আমি নেই। যদি জানতাম, এখানে ভালো করলে জাতীয় দলে আমার সুযোগ থাকবে বা অন্তত বিবেচনাও করতে পারে, তাহলে এই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে হোটেলে উঠতাম। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টিতে ৫ উইকেট নেওয়ার পরও নেওয়া হয়নি দলে। লিগে খুব ভালো করলেও লাভ নেই।’
৩৭ বছর বয়সী এই পেসার অবশ্য বিদায় বলতে রাজি নন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাবেন তিনি।
Discussion about this post