ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
স্লগ ওভারে তিনি শুধু দেশসেরাই নন, বিশ্বসেরাদের একজন। রাজশাহীর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ তার সেই অস্ত্রটিকে ঠিক মতোই কাজে লাগাচ্ছেন। আবারো শেষ দিকে এসে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পসরা সাজালেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে চিগাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৭ রানে ম্যাচ জিতল রাজশাহী কিংস।
শেষ ওভারে স্বাগতিক চট্টগ্রামের জিততে দরকার ছিল ১৩ রান। করতে পারল মাত্র ৪ রান। আর সেই ম্যাচটা কীনা ৭ রানে মুস্তাফিজের হাত ধরে জিতল রাজশাহী।
এই জয়েররাজশাহী কিংস এবারের বিপিএলের প্লে’অফে খেলার লড়াইয়ে টিকে থাকল। তৃতীয় হার দেখা পয়েন্ট চিটাগং ভাইকিংস এখনো শীর্ষেই আছে। এই ম্যাচ নিয়ে নিজ মাঠে টানা দুই ম্যাচই হারলো মুমফিকুর রহীমের দল। ৯ ম্যাচ খেলে রাজশাহীর পয়েন্ট ১০। একটি করে ম্যাচ কম খেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ঢাকা ডায়নামাইটসের ১০ পয়েন্ট।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৯৯ রানের টার্গেটে নেমে চিটাগং ভাইকিংস করতে পারে ১৯১ রান!
জবাবে নেমে মাত্র ৭.৪ ওভারেই ৭৯ রান করে ফেলে চিটাগং। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ৪৯ রানে মোহাম্মদ শাহজাদ ফিরতেই ভাঙনের শুরু। মুশফিকুর রহীম এরপর ফিরেন ২২ রানে। আর ইয়াসির ৩৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। ১৪.৪ ওভারে চিটাগংয়ের ৪ উইকেটে ১৪২ রান। মোসাদ্দেক, সিকান্দার রাজা ও নাজিবুল্লাহ জাদরানরাও সেই ম্যাচটা জেতাতে পারলেন না!
জিততে শেষ ৩ ওভারে ২৭ রান দরকার ছিল চিটাগংয়ের। তখনো হাতে ৫ উইকেট। ১৮তম ওভারে ৬ রান দেন মুস্তাফিজ। ১৯তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বি দিলেন ৮ রান। আর শেষ ওভারে ৫ রান দিয়ে মুস্তাফিজ শিকার করেন ২ উইকেট। ম্যাচ জয়ের আনন্দে ভাসে রাজশাহী। মিরাজ ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা কাটার মাস্টার দ্য ফিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রাজশাহী কিংস: ২০ ওভারে ১৯৮/৫ (চার্লস ৫৫, সৌম্য ২৬, ইভান্স ৩৬, ডেসকাট ২৭, ইয়ঙ্কার ৩৭, মাহমুদ ১*; আবু জায়েদ ৪-০-২৪-১, খালেদ ৪-০-৩২-২, নাঈম ৪-০-৪৪-০, রবিউল ৩.৩-০-৪৭-০, ডেলপোর্ট ৩.৩-০-৩৫-১)
চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১৯১/৮ (শাহজাদ ৪৯, ডেলপোর্ট ৭, ইয়াসির ৫৮, মুশফিক ২২, মোসাদ্দেক ১, রাজা ২৯, জাদরান ১১, নাঈম ০*, রবিউল ৩, আবু জায়েদ ১*; রাব্বি ৪-০-৪৪-২, মিরাজ ৪-০-২৫-২, মুস্তাফিজ ৪-০-২৮-৩, সানি ৪-০-৩৭-১)
ফল: রাজশাহী কিংস ৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: মুস্তাফিজুর রহমান
Discussion about this post