চাপে ছিলেন তিনি। জাতীয় দলে জায়গাটাও ছিল নড়বড়ে। তবে তিনি যে কিংবদন্তি ক্রিকেটার। সুযোগ পেয়েই যোগ্যতার পরিধিটা দেখালেন মুশফিকুর রহিম। সোমবার সিলেটে কথা বলল তার ব্যাট। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে রীতিমতো ঝড় তুললেন চায়ের শহরে!
নিজেদের ওভারের শেষ বলে এসে দেখা মিলল রোমাঞ্চ ছড়ানো সেই শতরানের। লেগ স্টাম্পের ওপর করা নিচু ফুল টস ডেলিভারি মিড উইকেটে পাঠিয়ে ১ রান নিয়েই উল্লাসে মাতেন মুশফিকুর রহিম। পূর্ণ করেন একশ রানে। এটি তার ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। তবে সন্দেহ নেই স্পেশাল। সামনের ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিটও যেন পেয়ে গেলেন তিনি।
বাংলাদেশের ওয়ানডেতে ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন মুশফিকের। অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটসম্যান ৬০ বলে ১৪ চার ও ২ ছয়ে করেছেন ১০০ রান। তার পথ ধরে টপকে যান সাকিব আল হাসানকে। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেন সাকিব।
মুশফিকেরও আরেকটা ঝড়ো ইনিংস ছিল। সেই দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল ৬৯ বলে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঝড় তুলেন তিনি।
মুশফিকের দাপটের দিনে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে টাইগাররা তুলে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান। আগের সর্বোচ্চ রান ছিল আগের ম্যাচেই, ৩৩৮ রান। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো পরপর দুই ম্যাচে তিনশ ছাড়াল বাংলাদেশ।
এদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যান মুশফিক। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই মাইলফলকে নিজের নাম তুললেন তিনি।
মুশফিকের ৭০০০
১-১০০০ রান (৫৫ ইনিংস)।
১০০০-২০০০ রান (৪২ ইনিংস)
২০০০-৩০০০ রান (২৮ ইনিংস)
৩০০০-৪০০০ রান (২৫ ইনিংস)
৪০০০-৫০০০ রান (২৬ ইনিংস)
৫০০০-৬০০০ রান (২৫ ইনিংস)
৬০০০-৭০০০ রান (২৮ ইনিংস)
Discussion about this post