দুঃস্বপ্নের মতো একটা সকাল এসেছিল। ৪০ মিনিটের ঝড়ে শেষ টপ অর্ডার। মাত্র ২৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট পতন। ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে ২৭২ রানের জুটি। ব্যস, লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে বাংলাদেশ পেয়ে যায় ঢাকা টেস্টের ১ম ইনিংসে ভাল পুঁজি। ৩৬৫ রান তুলে থামল টাইগাররা।
অবশ্য শ্রীলঙ্কান বোলাররা আউট করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিমকে। দল অলআউট হলেও ১৭৫ রানে অপরাজিত মুশফিক। লিটন দাস সকালেই ১৪১ রানে ফেরেন। অন্যরা যারপরনাই ব্যর্থ।
সব মিলিয়ে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি ছয় ব্যাটসম্যান। টেস্টে এক ইনিংসে ষষ্ঠ ছয় ডাকের ঘটনা এটি। বাংলাদেশের দ্বিতীয়। এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে অনন্য এক রেকর্ডও গড়ল বাংলাদেশ। ছয় শূন্যের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড় বাংলাদেশ দল। এর আগে ছয় ডাকের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান ছিল ১৫২। মুশফিকের ১৭৫ ও লিটনের ১৪১ রানেই এমন রেকর্ড সঙ্গী হলো।
এর আগে ২০০২ সালে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৭ রানে অলআউট হয়। ওই ইনিংসেও ছিল ছয়টি ডাক।
মঙ্গলবার সঙ্গীর অভাবে মুশফিকপেলেন না ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি। ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকলেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পুঁজি ৩৬৫ রান। ৩৫৫ বলে ২১ চারে ১৭৫ রানের ইনিংস। চট্টগ্রামেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতরান করেছিলেন মুশি
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ইবাদত হোসেন রানআউট হলে শেষ হয়ে যায় ইনিংস। কাসুন রাজিথার করা ১১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেগ সাইডে খেলে দুই রান নেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। দ্বিতীয় রানটি নিতে গিয়ে আউট ইবাদত।
তারা ৫৬ বলে ১৬ রানের জুটি গড়েন। ২০ বল খেলে রান অবশ্য করতে পারেন নি ইবাদত। মুশফিক মাঠ ছাড়েন ১৭৫ রানে। লিটন ১৪১ রান করেন ২৪৬ বলে, এক ছক্কা ও চার ১৬টি।
ইবাদতের রানআউট বাদে বাকি ৯ উইকেটই নেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। ক্যারিয়ারে প্রথম পাঁচ উইকেট নেন কাসুন রাজিথা,। আসিথা ফার্নান্দোর নেন ৯৩ রান দিয়ে চার উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১১.২ ওভারে ৩৬৫/১০ (জয় ০, তামিম ০, শান্ত ৮, মুমিনুল ৯, সাকিব ০, মুশফিক ১৭৫*, লিটন ১৪১, মোসাদ্দেক ০, তাইজুল ১৫, খালেদ ০, ইবাদত ০; রাজিথা ২৮.২-৭-৬৪-৫, আসিথা ২৬-৩-৯৩-৪, জয়াবিক্রমা ৩৮-৯-১০৮-০, রমেশ ১৪-০-৫৩-০, ধনাঞ্জয়া ৬-০-২৭-০, করুনারত্নে ৪-১-৮-০)
Discussion about this post