ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বয়স ২০। রেকর্ড পাতা ওলট পালট করে এই বয়সেই হয়েছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক। বল হাতে হয়ে উঠেছেন সময়ের সেরাদের একজন। সেই রশিদ খানের কথা সোমবার রীতিমতো মুগ্ধতা ছড়াল। মঙ্গলবার ফাইনালে দল লড়বে বাংলাদেশের সঙ্গে। যদিও তার খেলার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। অথচ শনিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচটা নাও খেলতে পারতন। সেই ম্যাচে চোট নিয়ে খেলে এখন বিপাকে অধিনায়ক।
সোমবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে রশিদ খান পুরো প্রসঙ্গটা নিয়ে বললেন, ‘চোট কতটা গুরুতর এটা বুঝতে চেয়েছিলাম। ফিজিও ও কোচ চায়নি আমি বোলিং করি। প্রথম দুই ওভার ঠিকই ছিল। তবে একটু দৌড়ানোর পর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। আশা করি কাল ঠিক হয়ে যাবে। এটা নিয়ে ফিজিও অনেক কাজ করছে।’
আসলে দেশের প্রতি ভালবাসা থেকেই খেলে যান রশিদ। যেমনটা বলছিলেন এই স্পিনার, ‘আমার সেদিন বোলিং করা ঠিক হয়নি। কিন্তু যখন আপনাকে দলের প্রয়োজন হবে, খেলতেই হবে। দেশের হয়ে খেলার সময় নিজেকে নিয়ে ভাবি না। দেশের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিই। যদি একটা হাত না থাকে, তারপরও আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমি দেখেছি গত বছর জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাই খেলার সময় কীভাবে আসগর আফগান অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করার মাত্র চার দিন পর খেলতে চলে এসেছিল। যদি ১০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে, আমি খেলব। আমি নিজের চেয়ে আমি দেশের জয় দেখতে চাই।’
তার মানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রশিদের নেতৃত্বেই হয়তো মাঠে নামবে আফগানিস্তান।
Discussion about this post