ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অনেকটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। চিরায়ত পরিচিতি পাওয়া সেই ‘ব্যাটসম্যান’ শব্দটি আর ব্যবহার করবে না ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফো। লিঙ্গ সমতা ও বর্ণ বৈষম্য এড়াতে বেশ কিছু শব্দ ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রিয় এই ওয়েবসাইটটি।
শুক্রবার ইএসপিএনের এডিটর ইন চিফ সাম্বিত বাল এক নিবন্ধে এনিয়ে বিস্তারিত জানালেন। লিখেছেন- এখন থেকে তারা ‘ব্যাটসম্যান’ শব্দের বদলে ‘ব্যাটার’ ব্যবহার করবেন। এখানেই শেষ নয়, আরও কিছু পরিবর্তন এনেছে তারা। বাঁহাতি রিস্ট স্পিন বোলারদের ‘চায়নাম্যান’ বলা হয়। এটি এমনই থাকবে না।
তারা জানিয়েছে, ‘চায়নাম্যান’ শব্দটি ‘ইংলিশম্যান’, ‘ডাচম্যান’ বা ‘ফ্রেঞ্চম্যান’-এর মতো ব্যবহার করা হয় না। ‘চায়নাম্যান’- এর পরিবর্তে এখন থেকে ‘লেফট-আর্ম রিস্টস্পিন’ লেখা হবে। বাদ দেওয়া হয়েছে ‘মানকড়’ শব্দিটিও। ভারতীয় ক্রিকেটার বিনু মানকড় প্রথম এমন রানআউট করেন। এরপর থেকেই বিষয়টিকে ইংরেজিতে ‘ম্যানক্যাডিং’ শব্দটি দ্বারা ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী আউটকে বুঝানো হয়। এখন থেকে এটি হবে ‘রান-আউট ব্যাকিং আপ’।
সাম্বিত বাল তার নিবন্ধে লিখেছেন, ‘ব্যাটসম্যান’ শব্দটিকে এমন বৈষম্যমূলক মনে নাও হতে পারে। ‘ব্যাটসউইম্যান’ উপযুক্ত হতে পারে নারী ক্রিকেটে। কিন্তু সমস্যা হলো একের ওপর অন্যটির শ্রেষ্ঠতার প্রসঙ্গ। পুরুষ ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান ঠিক। কিন্তু ১৯৯৮ সালে মেরিলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব নারীদের সদস্যপদ দেওয়া শুরু করে। পুরুষের আধিপত্য বোঝাতে নারী যখন কোনও কাজ করেন তখন সেই পদ বা ভূমিকাকে নারীকরণ করা হয়। এ কারণেই বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু পদবির প্রচলন করা হয়েছে যেগুলো লিঙ্গভিত্তিক নয়। যেমন, ‘স্টুয়ার্ড’ ও ‘স্টুয়ার্ডেস’ এর বদলে ‘ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট’, ‘পুলিশম্যান’ ও ‘পুলিশউইম্যান’ এর বদলে ‘পুলিশ ‘অফিসার’, ‘অ্যাক্ট্রেস‘ এর বদলে ‘অ্যাক্টর‘, ‘চেয়ারম্যান‘-এর বদলে ‘চেয়ারপারসন’ বা শুধু ‘চেয়ার’। তবে‘বোলার’, ‘ফিল্ডার’ ও ‘উইকেটকিপার’ সব লিঙ্গ নিরপেক্ষ।
এরইমধ্যে ম্যান অব দ্য ম্যাচ থেকে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ- ব্যবহার শুরু করছে ক্রিকইনফো।
Discussion about this post