বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশের এক ধাক্কা মুখোমুখি। অধিনায়ক লিটন দাস মনে করছেন, দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা ম্যাচ হারের প্রধান কারণ।
চট্টগ্রামের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ, যেখানে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ বলে ৬১ রান। এই ব্যাটিং প্রদর্শন সত্ত্বেও দলের অন্যান্য ব্যাটাররা কার্যত কোনও অবদান রাখতে পারেননি। জাকের আলি অনিক, শামীম পাটোয়ারী, তাওহীদ হৃদয়-সবাইই ব্যর্থ হয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাস বলেন, ‘গত কয়েকটি সিরিজে আমাদের বোলাররা দারুণ করেছে। কিন্তু তারা নিজেদের কাজটা ভালোভাবে করলেও আমরা জিততে পারিনি। চট্টগ্রামের মতো উইকেটে ১৫০ রান খুব বড় কিছু নয়। যখনই আমরা ভালো শুরু পেয়েছি, তখনই আউট হয়ে গেছি। ব্যাটারদের ক্রিজে সময় নিয়ে খেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আমি নিজেও ১২–১৩ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করা উচিত ছিল।’
অন্যদিকে তানজিদ হাসান তামিমও ম্যাচের ফলাফলের ওপর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আসলে ম্যাচ না জেতায় কিছুর ভ্যালু থাকে না। নতুন ব্যাটারদের জন্য এই উইকেট একটু কঠিন। আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম, হয়ত ফলাফল ভিন্ন হতো। আমার দায়িত্বটা পুরোপুরি পালন করতে পারিনি।’
তামিম আরও যোগ করেন, ‘এই উইকেটে সেট ব্যাটারকেই শেষ করতে হয়। নতুন ব্যাটার গিয়েই মারতে গেলে আউট হওয়া স্বাভাবিক। আমার মনে হয় আমার দায়িত্বটা একটু বেশি ছিল। সেটা যদি শেষ পর্যন্ত পালন করতে পারতাম, ম্যাচটা সহজেই বের হয়ে আসত।’
বাংলাদেশের ব্যাটিং সমস্যা দিনের পর দিন পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। ব্যর্থতা যেন দলকে ধীরে ধীরে ঘরে ফিরিয়ে দিচ্ছে, এবং পরবর্তী ম্যাচে হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আগামীকাল তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে মাঠে নামতে হবে অবশ্যই জয়ের মনোভাব নিয়ে, যাতে সিরিজে অন্তত একটি জয় তুলে ধরে দলের আত্মবিশ্বাস রক্ষা করা যায়। অধিনায়ক লিটন দাস ও সিনিয়র ব্যাটাররা আশা রাখছেন, ব্যাটিং লাইন-আপ এইবার শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে এবং হোয়াইট ওয়াশের ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হবে।
 
			 
                                









Discussion about this post