বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে আইসিসি ঘোষিত আম্পায়ারিং প্যানেলে সুযোগ পেলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। ২০১১ বিশ্বকাপে রিজার্ভ আম্পায়ার ছিলেন এনামুল হক মনি। তিনি কোনো ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পাননি। বলা হচ্ছে, শরফুদ্দৌলা এবার ম্যাচ পরিচালনা কিংবা টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পাবেন। এর অর্থ ছেলেদের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ম্যাচ পরিচালনার (মাঠে কিংবা টিভি আম্পায়ার) সঙ্গে থাকবেন তিনি। এ বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসির নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের সৈকত। প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার আইসিসির কোনো বিশ্ব আসরে দায়িত্ব পালন করবেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এবারের আসরে লিগ পর্বের জন্য ১৬ সদস্যের আম্পায়ার প্যানেল ঘোষণা করে আইসিসি।
বাংলাদেশের শীর্ষ আম্পায়ার সৈকত। দেশি আম্পায়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ টেস্ট, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ ওয়ানডে ও সর্বোচ্চ ৪৩ টি-টুয়েন্টিতে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন এক সময়ের এই বাঁহাতি স্পিনার।
আসন্ন বিশ্বকাপে ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন সৈকত। পরের কিছু ম্যাচে মূল আম্পায়ারও থাকবেন।
বিশ্বকাপের আম্পায়ার প্যানেল-
মোট ১৬ জন আম্পায়ারের মধ্যে ১২জন আইসিসি এলিট প্যানেলের সদস্য-ক্রিস্টোফার গ্যাফানে (নিউজিল্যান্ড), কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), মারাইস এরাসমাস (দক্ষিণ আফ্রিকা), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), পল রেইফেল (অস্ট্রেলিয়া), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আহসান রাজা (পাকিস্তান) ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
আইসিসি ইমার্জিং আম্পায়ার প্যানেলের সদস্য-শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ (বাংলাদেশ), পল উইলসন (অস্ট্রেলিয়া), অ্যালেক্স হোয়ার্ফ (ইংল্যান্ড) ও ক্রিস ব্রাউন (নিউজিল্যান্ড)।
বিশ্বকাপের ম্যাচ রেফারি প্যানেল
জেফ ক্রো, অ্যান্ডি পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগাল শ্রীনাথ।
Discussion about this post