প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হলো না। যেখানে এর আগে চার দেখায় বাংলাদেশ জিতেছিল ৩টি ম্যাচে। দারুণ উত্তেজনা ছিল এই ম্যাচটাকে ঘিরে। কিন্তু এবার সমীকরণ মিলল না। পারল না বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের সঙ্গে লড়তেই পারেনি টাইগাররা। বিরাট কোহলির শতরানে ৭ উইকেটের অনায়াস জয় পেয়েছে ভারত। চলতি বিশ্বকাপে এটি জয়!
পুনেতে ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরুর করলেও এরপর পথ হারিয়ে আড়াইশ পেরোয় বাংলাদেশ। দল ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে করে ২৫৬ রান। জবাবে নেমে বিরাট কোহলির ৪৮তম সেঞ্চুরিতে ভারত ৪১.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে।
ভারতের জিততে যখন ২ রান প্রয়োজন, তখন কোহলির সেঞ্চুরি হতে দরকার ছিল ৩ রান। নাসুম আহমেদের করা ৪২তম ওভারের প্রথম দুটি বল সমীহ করে খেলেন তিনি। কিন্তু তিন নম্বর বলটিকে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। নিশ্চিত করেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম সেঞ্চুরি। তার অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত তুলে নেয় দারুণ এক জয়।
ম্যাচের ফল নিয়ে অনিশ্চয়তা শেষ হতেই শেষ দিকে উত্তেজনা ছড়ায় কোহলি সেঞ্চুরি পান কী না সেটি ঘিরে। ভারতের যখন ২০ রান প্রয়োজন, তখন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন ছিল ২০ রান।সেই লক্ষ্য পূরণ করে ম্যাচ শেষ করেন নাসুম আহমেদকে ছক্কা মেরে।
৯৭ বলে চারটি ছক্কা ও ছয়টি চারে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। তার সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি উপহার দেওয়া লোকেশ রাহুল ৩৪ বলে তুলেন ৩৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৬/৮ (তানজিদ ৫১, লিটন ৬৬, শান্ত ৮, মিরাজ ৩, হৃদয় ১৬, মুশফিক ৩৮, মাহমুদউল্লাহ ৪৬, নাসুম ১৪, মুস্তাফিজ ১, শরিফুল ৭; বুমরাহ ১০-১-৪১-২, সিরাজ ১০-০-৬০-২, পান্ডিয়া ০.৩-০-৮-০, কোহলি ০.৩-০-২-০, শার্দুল ৯-০-৫৯-১, কুলদিপ ১০-০-৪৭-১, জাদেজা ১০-০-৩৮-২)
ভারত: ৪১.৩ ওভারে ২৬১/৩ (রোহিত ৪৮, ফিল ৫৩, কোহলি ১০৩, আইয়ার ১৯, রাহুল ৩৪; শরিফুল ৮-০-৫৪-০, মুস্তাফিজ ৫-০-২৯-০, নাসুম ৯.৩-০-৬০-০, হাসান ৮-০-৬৫-১, মিরাজ ১০-০-৪৭-২, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৬-০)
ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: বিরাট কোহলি
Discussion about this post