ক্রিকবিডি২৪.রিপোর্ট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে এবার চার বছরের নতুন করে চুক্তি করতে চায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। তার আগে সংস্থাটি একে একে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বসবে। আগামী দিনে জমজমাট ও বিশৃঙ্খলামুক্ত বিপিএল আয়োজন করতে কী করণীয়, সেসব নিয়ে জানতে চাইবে। সে ধারাবাহিকতায় সোমবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বসেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস, রাজশাহী কিংস ও খুলনা টাইটানস। এরপরই জানা গেছে তাদের চাওয়াগুলো
সপ্তম বিপিএল শুরুর আগে নতুন বির্তক শুরু হয় সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। কেননা এ অলরাউন্ডার বেশ আগেই ঢাকা ডায়নামাইটস ছেড়ে ছড়া মূল্যে এক বছরের জন্য রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে চুক্তি করেন। যদিও তা পরে আর টেকেনি। কেননা আপাতত বিপিএলে কোন দলই নেই। যেদিও সোমবার ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রধান নির্বাহী ওবায়েদ নিজাম অবশ্য বৈঠক শেষে দাবি করেছেন, আলোচনায় সাকিবের প্রসঙ্গ আসেনি। তিনি অবশ্য বলেছেন, ‘আইকনদের নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, এবার সব নতুন করে শুরু হবে। আমাদের থেকে কিছু উপদেশ চেয়েছিল তারা, তা আমরা লিখে নিয়ে এসেছিলাম। তারা শুনেছে, দেখি কী হয়।’
বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের কাছে অবশ্য সোমবার খুলনা টাইটানেসের দাবী ছিল দুটি। যা পরিষ্কার করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্বাধিকারী কাজী এনাম আহমেদ, ‘টুর্নামেন্ট টেকসই হোক। বছরের পর বছর অনেক দলের মালিক বদলায়। টুর্নামেন্ট কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে টেকসই করা যায়, সামনে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও যেন আয় থাকে। আবার বিসিবির আয় না কমে। রাজস্ব শেয়ারের প্রসঙ্গ এসেছে। আর আগামী চার বছরের জন্য চুক্তি হচ্ছে নতুন করে। ড্রাফট, খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়ম কী হবে—সবার সঙ্গে আলোচনা করে, এক মত হয়ে নিয়মগুলো একবারে বলে দেওয়া। প্রতিবছর যেন নিয়ম না বদলায়। নিয়মগুলো স্বচ্ছ থাকতে হবে।’
এর বাইরে খুলনা চাইছে আসছে বিপিএলের ম্যাচ খুলনায় খেলকে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে আরও একটি পরামর্শ দিয়েছেন কাজী এনাম, ‘আমরা পরামর্শ দিয়েছি খেলোয়াড় ধরে রাখার সংখ্যাটা বাড়ানো হোক। ৪-৫ জনের জায়গায় ৮-৯ জন করা। এতে অফ সিজনে ক্যাম্প করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সারা বছর খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করতে পারবে।’
এদিকে বেশ আগে থেকেই রাজশাহী কিংস বিপিএলের রাজস্বের ভাগ চেয়ে আসছে। সোমবারও তারা তেমন দাবী তুলেন। শুধু তাই-ই নয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কীভাবে সমানভাবে আয়ের ভাগ পেতে পেরে সেটি নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে রাজশাহী। খুলনার মতো তারাও চায় বিপিএলের নিয়ম কদিন পর পর যেন না বদলায়।
তিন দলের সঙ্গে আলোচনার পর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল অবশ্য কিছু এখনো চূড়ান্ত করেনি। এখনো তাদের আরও চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বৈঠক বাকি। তবে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার খেলোয়াড় ধরে রাখা নিয়ে বললেন, ‘এ বছরের আমাদের পরিকল্পনা হলো, নিলাম হবে। প্লেয়ার্স বাই ড্রাফট হবে, একদম নতুন করে হবে। খেলোয়াড় ধরে রাখার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করিনি। করলে আপনাদের জানানো হবে।’
আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল বিপিএলের নতুন নিয়ম প্রকাশ করবে। আগের মতই এবার এ টুর্নামেন্ট হবে তিনটি ভেন্যুতে।
Discussion about this post