প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে গুডবাই বলে দিলেন ইমরুল কায়েস। সোমবার শেষবারের মতো নামলেন সাদা পোশাকে। নিজের শেষ ম্যাচটির দুই ইনিংসে করেন ১৬ ও ১! টেস্ট দলে ২০১৯ সালের পর থেকেই নেই তিনি।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিজের শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ফেললেন। বিদায় বেলায় বললেন তার চোখে সেরা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে বলেন, ভালো ক্যাপ্টেন বাংলাদেশের হয়ে কে করেছে? আমি বলব সাকিব আল হাসান। কারণ, ওর সময় খেলে আমি আমার রোলটা কী, তা বুঝতে পেরেছিলাম।’
ক্যারিয়ারে মাত্র ৩৯ টেস্ট খেলেছেন ইমরুল। এনিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই মনে। বলেন, ‘২০০৬ সালে যখন আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়, আমি ভাবিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে এতগুলো টেস্ট খেলতে পারব। সব শেষে এখন যেভাবে বিদায় নিলাম, আমি খুব খুশি যে বাংলাদেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
ইমরুল কায়েস আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে এসে এই বিষয়ে আর কথা বলতে চাইছি না। যেটা হয়েছে, আমি মনে করি সেটা আমার কপালে ছিল। আমি বলব না, আমি শতভাগ ঠিক ছিলাম। আমি হয়তো আরও ভালো খেলতে পারতাম। ভালো খেললে হয়তো ধারাবাহিক সুযোগ পেতাম। তবে হ্যাঁ সুযোগগুলো যদি আরেকটু ফ্লেক্সিবল থাকত, তাহলে হয়তো আমার ক্যারিয়ারটা ভিন্ন হতো। আমিও জানতাম না, খেলার পর আমি পরের ম্যাচে থাকব কিনা বা পরের সিরিজে থাকব কিনা। এজন্য একটু কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আর হতাশা নেই।’
২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় তার। ২০০৮ সালের নভেম্বরে টেস্ট অভিষেক। এই ফরম্যাটে ৩৯ ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরিসহ ২৪.২৮ গড়ে তুলেছেন ১৭৯৭ রান। ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রান, চট্টগ্রামে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও টেস্ট থেকে অবসরের পর এখন কী করবেন সেটিও জানালেন ইমরুল। তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি বিপিএল ও ডিপিএল খেলব। এনসিএলেও টি-টোয়েন্টি খেলব। অবশ্যই আমি চেষ্টা করব, ওয়ানডে যেহেতু এখনও আছে, আমি অবসর নেইনি। সামনে প্রিমিয়ার ডিভিশন খেলা আছে। আমি চেষ্টা করব ক্রিকেট উপভোগ করতে। বিপিএলেও চেষ্টা করব ভালো পারফর্ম করতে।’
ইমরুল কায়েসের পরিবার এখন থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। ক্যারিয়ার শেষে ক্রিকেট নিয়ে এখন কাজ করার ইচ্ছে আছে তার।
Discussion about this post