মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় মিরপুর শেরে-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসেছিল সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। দেশের জন্য আত্মদানকারী দুই বীর শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত এই প্রীতি ম্যাচে এবারও জয় পেয়েছে শহীদ মুশতাক একাদশ।
মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন মুশতাক একাদশ ৩৮ রানের বড় ব্যবধানে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর শহীদ জুয়েল একাদশকে হারিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুশতাক একাদশের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। নির্ধারিত ওভারে তারা সংগ্রহ করে ১৩৮ রান। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন নাদিফ চৌধুরী, তিনি মাত্র ২৬ বলে খেলেন ৪৬ রানের আক্রমণাত্মক এক ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তুষার ইমরান, যার ২৭ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংসটি দলকে লড়াকু পুজি এনে দিতে মূল ভূমিকা পালন করে। শহীদ জুয়েল একাদশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক, তিনি শিকার করেন ৩টি উইকেট। এছাড়া আনোয়ার হোসাইন ও তারেক আজিজ খান একটি করে উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার চেষ্টা করেন।
১৩৯ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শহীদ জুয়েল একাদশ। ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম ৮ বলে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। তবে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। তার ৩৩ বলে করা ৩৬ রানের ইনিংসটি দলের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখলেও অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তা যথেষ্ট ছিল না। শেষের দিকে তালহা জুবায়ের ১৯ বলে ২৬ রান এবং অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ২ রান করে অপরাজিত থাকলেও নির্ধারিত ওভার শেষে ১০০ রানেই থেমে যায় জুয়েল একাদশের ইনিংস।
মুশতাক একাদশের বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং প্রদর্শন করেন। দলের হয়ে একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ আশরাফুল ও তুষার ইমরান। মাঠের লড়াইয়ে জয়-পরাজয় বড় কথা নয়, বরং বিজয় দিবসের এই বিশেষ দিনে ক্রিকেটের সাবেক কিংবদন্তিদের একসাথে মাঠে ফিরে আসা এবং শহীদদের স্মরণ করাই ছিল এই আয়োজনের মূল সার্থকতা।










Discussion about this post