অল্পতেই রক্ষা পেলেন তিনি। যে অপরাধ করেছিলেন তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হলো ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা ও ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। আর এই ধরনের অপরাধের সর্বনিম্ন শাস্তি হলো আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করা। দুটোর কোনটিই নয়, মাঝামাঝি একটা শাস্তি পেলেন তাইজুল ইসলাম।
অবশ্য ভুল বুঝে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। মাঠের আম্পায়াররা অভিযোগ আনার পর ম্যাচ রেফারি তলব করেন। দায় শিকার করে নেন তিনি। এরপর আর আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। তাইজুল ইসলামকে জরিমানা করেছে আইসিসি। বুধবার রাতে এক ই-মেইলে তাকে জরিমানা করার বিষয়টি জানায় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ঢাকার মিরপুরের শেরেবাংলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান দ্বিতীয় টেস্টে আইসিসির আচরণবিধি (লেভেল-১) লঙ্ঘন করায় তার ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে তাকে। ২৪ মাস বহাল থাকবে এই পয়েন্ট। এই সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে তিনি ৪ কিংবা তার অধিক ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন।
বুধবার ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে ৬৯তম ওভারে বল কুড়িয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন তাইজুল। পপিং ক্রিজের মধ্যেই ছিলেন আর রান নেওয়ার কোনো চেষ্টাও করেননি শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান। তারপরও তাকে উদ্দেশ্য করে ছুড়ে মারলে ম্যাথুজের লাগে গায়ে বল।
এটি আইসিসির আচরণবিধির ২.৯ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ। যেখানে বলা আছে-আন্তর্জাতিক ম্যাচে কোনো খেলোয়াড়কে লক্ষ্য করে কিংবা অযথাযথ অথবা বিপজ্জনকভাবে বল ছুড়ে মারা।
Discussion about this post