ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আফগানিস্তানের কাছে হারের পর চট্টগ্রামে অনেক কথার ফাঁকে সাকিব আল হাসান বলেন, নেতৃত্বে না থাকলেই তার জন্য ভালো। কিন্তু সেই কথার সূত্র ধরে এবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সাকিবের পুরোনো দৃষ্টিভঙ্গির নতুন প্রকাশ। বিসিবি সভাপতির জানাচ্ছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সাকিবের খুব একটা আগ্রহ নেই। এ কারণেই নেতৃত্বের অনীহা তৈরি হয়েছে সাকিবের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট শেষে অধিনায়ক সাকিব বলেন, অধিনায়কত্ব করতে না হলেই তার জন্য ভালো। মনোযোগ বেশি দিতে পারবেন নিজের খেলায়। এই কথার পর বুধবার নাজমুল হাসান পাপন মুখ খুললেন। বিসিবির প্রধান বলেন,
‘দেখুন, এটি কঠিন প্রশ্ন। তবে এটি ঠিক যে, আমরা দেখছি টেস্টের ব্যাপারে বেশ কিছুদিন থেকে ওর আগ্রহ তেমন নেই। বিশেষ করে আপনারা যদি দেখেন, আমাদের দলগুলো যখন বাইরে যাচ্ছিল, তখন টেস্টের সময় সে বিরতি চায়। ন্যাচারালি ওর হয়তো আগ্রহটা কম।’
পাপন আরও বলেন, ‘আমরা কখনো শুনিনি যে, অধিনায়কত্ব নিয়ে ওর আগ্রহ কম আছে। এখন বলার কারণ হতে পারে, অধিনায়ক হলে তো টেস্ট খেলতেই হবে। অধিনায়ক না হলে টেস্ট না খেলেও পারা যায়। তাই ন্যাচারালি হয়তো এই কারণে অধিনায়কত্বের কথাটি এসেছে।’
সাকিব যাই ভাবুন বিসিবি তার ওপরই আস্থা রাখছে। নাজমুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সাকিব অনেক সার্ভিস দিয়েছে। আমরা মনে করি, সে হলো সেরা অধিনায়ক। আমাদের হাতে যে অপশন আছে, তাদের মধ্যে থেকে সে সেরা। এখন পর্যন্ত সে আমাদের কিছু বলেনি। মিডিয়াতে বলেছে যে যদি থাকি কিংবা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে- এই ধরনের একটি কথা।’
আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হারার পর মন খারাপ থেকেও এই কথা বলতে পারেন সাকিব-এমনটা মনে করেন পাপন। বিসিবির সভাপতি বলেন, ‘দেখুন, আমি গতকাল ওর সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু সেখানে এমন কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি। যেহেতু এখন একটি সিরিজ চলছে, আমার মনে হয় না এখনই এটি নিয়ে কথা বলা উচিত। ও যখন আমাদের কাছে বলবে, তখন আমরাও ফরমালি বলব। হয় কী… মন টন খারাপ থাকে তো। ও তো আগে কয়টা টেস্টে যায়ও নাই। এসে হঠাৎ করে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারল… ইমোশনাল হতে পারে। আমাদের ছেলেরা তো একটু আবেগি।’
মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সাকিবকে টেস্ট নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।
এদিকে সিনিয়রদের সরিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবছে না বিসিবি। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করি তামিম দেশ সেরা ওপেনার। মুশফিক সেরা ব্যাটসম্যান। সাকিব বিশ্বসেরা ক্রিকেটার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিস্ময়কর ক্রিকেটার। এরা আমাদের অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। হয়তো এখন অনেকের অফফর্ম আছে। তাই বলে ওদের বাদ দেয়ার বিন্দুমাত্র কোনো চিন্তা আমাদের নেই। এই ক্রিকেটাররা বিশ্বের যে কোনো দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার যোগ্যতা রাখে।’
Discussion about this post