চট্টগ্রাম টেস্টে কিছুতেই স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ দল। একবার সাফল্য মাথা উঁচু তো আবার ব্যর্থতায় সঙ্গী হতাশা। বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি দ্বিতীয় ইনিংসে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের ৪৪ রানসহ বাংলাদেশ ২০১ রানের লিড নিয়েছে। ২০২ রান করলে জিতে যাবে পাকিস্তান। টাইগারদের চাই তাদের দশ উইকেট। হাতে সোমবার দিনের দেড় সেশন ও মঙ্গলবার শেষ দিনের পুরোটা বাকি।
এদিনও ভরসার আরেক নাম ছিলেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে করেছিলেন সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের বিপর্যয়ের মুখে নামেন ব্যাটিংয়ে। হাফসেঞ্চুরি করে দলকে এনে দেন ২০০ রানের লিড। কিন্তু এরপরই শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরলেন।
৮৯ বলে ৫৯ রানে আউট লিটন। এর দুই বল পরই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আবু জায়েদ রাহী। তাকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
নুরুল হাসান সোহানের বিদায়ের পর মাত্র ৪ রান যোগ করতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। তাইজুল ইসলাম পত্রপাঠ বিদায়ে বাংলাদেশ শেষ ১৫৭ রানে। কঠিন পরীক্ষাতেই পড়ল দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০/১০ (মুশফিক ৯১, লিটন ১১৪, ইয়াসির ৪, মিরাজ ৩৮, তাইজুল ১১, আবু জায়েদ ৮, ইবাদত ০; আফ্রিদি ২৭-৮-৭০-২, হাসান ২০.৪-৫-৫১-৫, ফাহিম ১৪-২-৫৪-২, সাজিদ ২৭-৫-৭৯-১, নুমান ২৬-৬-৬২-০)।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১১৫.৪ ওভারে ২৮৬ (আবিদ ১৩৩, শফিক ৫২, আজহার ০, বাবর ১০, ফাওয়াদ ৮, রিজওয়ান ৫, ফাহিম ৩৮, হাসান ১২, সাজিদ ৫, নুমান ৮, আফ্রিদি ১৩*; আবু জায়েদ ১২-০-৪১-০, ইবাদত ৪৪.৪-৯-১১৬-৭, তাইজুল ১৯-৫-৩৯-০, মিরাজ ৩০-৭-৬৮-১, মুমিনুল ৩-০-১২-০)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৩৯/৪) ৫৬.২ ওভারে ১৫৭ ( মুশফিক ১৬, ইয়াসির আহত অবসর ৩৬, লিটন ৫৯, মিরাজ ১১, সোহান ১৫, তাইজুল ০, আবু জায়েদ ০, ইবাদত*; আফ্রিদি ১৫-৮-৩২-৫, হাসান ১১-০-৫২-২, ফাহিম ৮-৩-১৬-০, নুমান ৯-৩-২৩-০, সাজিদ ১৩.২-১-৩৩-৩)।
Discussion about this post