দুজনের বন্ধুত্বটা অনেক দিনের। কিন্তু খেলার মাঠে যেন একজন আরেক জনের প্রতিদ্বন্দ্বী। ব্যাট হাতে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার ইতিবাচক একটা লড়াই চলেই তাদের। সেই তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমের লড়াই জমে উঠেছে। টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তাদের মধ্যে চলছে লড়াই। একবার তামিম এগিয়ে যান তো আবার মুশফিক।
চট্টগ্রাম টেস্টেই দেখা মিলেছে এই দুই দৃশ্য। বুধবার চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে ফের তামিমকে টপকে গেলেন মুশফিক। এখানেই শেষ নয়, এদিন একটা ইতিহাসও গড়লেন মুশি। দেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ব্যাটসম্যান টেস্টে ৫ হাজার রান ক্লাবে পা রাখলেন তিনি।
অবশ্য এই মাইলফলকটা আগেই স্পর্শ করতে পারতেন তামিম। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন ৮৫ রান করেই তিনি টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন তিনি। তামিম শতরান তুলে আগের দিন ছাড়েন মাঠ। ব্যক্তিগত ১৩৩ রানের মাথায় হাতের পেশির চোটে তিনি অবসরে যান। এ অবস্থায় ১৫২ রান করলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রান হতো তার।
সেটি হলো না। তার আগেই বুধবার সকালে ৫ হাজারি ক্লাবে পা রাখেন মুশফিক। তিনি আগের দিন ৫৩ রান তুলে কাজ এগিয়ে রেখেছিলেন। বুধবার গড়লেন নতুন ইতিহাস। পা রাখেন ৫০০০ রান ক্লাবে। টেস্টে যেখানে টাইগার ক্রিকেটে তিনিই প্রথম।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই কীর্তি গড়ে তেমন উচ্ছ্বাস করেন নি মুশি। সেই ২০০৫ সালের ২৬ মে, ঐতিহাসিক লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক তার। মাত্র ১৭ বছর ৩৫১ দিন বয়সে এই উইকেটকিপার ব্যাটারের অভিষেক হয়। ৮১তম টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইফলকে পৌঁছান তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে চার হাজার রানে সবার আগে পা রাখেন তামিম। তার ৫৫ টেস্ট লেগেছিল, মুশফিকের ৬৬ টেস্ট। এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে মুশফিককে খেলতে হয়েছে ২০ টেস্ট। দুই হাজার রানে পৌঁছাতে মুশফিক খেলেন ৩৫ টেস্ট।
৮১ টেস্টে মুশফিক ৫ হাজার রান পূর্ণ করেন মুশি। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটিও তার। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ২০০ রান করেন তিনি। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরেও ২১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এই তারকা ব্যাটসম্যান।
Discussion about this post