ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ বলে কথা। তবে নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তানের মাঠে দুটি টেস্ট খেলতে নতুন বছরে যেতে চাইছে না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তেমন তথ্যই দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘দমবন্ধ একটা পরিবেশে কত দিন থাকা যায়? যাদের সঙ্গে কথা বলেছি ওদের অনেকেই বলেছে যে এত লম্বা সময় থাকতে চায় না পাকিস্তানে। এ কারণে আমরা শুধু টি-টুয়েন্টি খেলতে যেতে পারি। এতে করে এক সপ্তাহের মধ্যে সফর শেষ করা যাবে। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। চিন্তা করতে পারি যে সেখানে টেস্টও খেলতে যায় কি না।’
না খেললে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা থাকবে। এনিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এটা নিয়ে চিন্তিত না। সিদ্ধান্তটা আমাদের নিতে হবে। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও খেলোয়াড়েরা সিদ্ধান্ত নেবে। তারা তাদের পক্ষ থেকে বলেছে, আমাদের কে চিন্তা করতে হবে বাংলাদেশ দল নিয়ে। আমাদের খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের নিয়ে। আমরা বলছি না যে আমরা যাব না। যেহেতু এই প্রথমবারের মতো যাচ্ছি সুতরাং ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা শঙ্কা থাকতেই পারে। এ ব্যাপারে কাউকে জোর করার প্রশ্নই উঠে না।’
পয়েন্ট হারানো প্রসঙ্গে বলেন , ‘দেখুন, আমরা এখনো পুরো প্রক্রিয়াটা জানি না। এই পরিস্থিতি বারবার আসে না। যেটা জানি ওরা এটা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করবে। তারা আমদের পরিস্থিতি বুঝবে এবং নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট আয়োজনের ব্যবস্থা করবে। তারা এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছে। এমন তো না যে আমাদের সঙ্গে প্রথম করতে হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ওরা এমন করেছে। আমাদের জন্য আয়োজন করতে অসুবিধা কোথায়?’
অবশ্য সন্ত্রাস কবলিত গোটা বিশ্ব। এই ২০১৯ সালেই ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যায় বাংলাদেশ দল। সেই উদাহরণ টেনে পিসিবি প্রধান এহসান মানি বলেন, সব দেশেই ঝুঁকি আছে। তবে বিসিবি প্রধান জানালেন, ‘একটা ব্যাপার হলো যে, ওখানে ঝুঁকির ব্যাপার তো আছেই। যে কোনো জায়গাতেই হতে পারে যে কোনো কিছু। কিন্তু অন্যান্য অনেক জায়গার চেয়ে পাকিস্তানের শঙ্কা নিশ্চিতভাবেই একটু বেশি।’
অবশ্য এটাও বলেন যে, ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ থাকার কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। আমি নিজেও দেখে এসেছি। মেয়েরা গিয়েছে, অনূর্ধ্ব-১৬ দল গিয়েছে। ওদের কাছ থেকেও ফিডব্যাক পেয়েছি যে সিস্টেম ভালো। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাইরেও অনেক ব্যাপার আছে।তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যেই কেউ কেউ বলেছে, টি-টোয়েন্টি খেলতেও যাব কিনা ঠিক নেই। তো ব্যাপারটা এমন যে আমরা আমাদের মূল দল পাঠাতে পারব কিনা নিশ্চিত নই। পাকিস্তানের এটা বোঝা উচিত। সিনিয়ররা ৪-৫ জন যদি বলে যে তারা যাবে না, তখন তো জুনিয়ররাও তো রাজী হবে না।’
Discussion about this post