ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) অনড়। যে করেই হোক বাংলাদেশকে তাদের দেশে সফরে নিতে মরিয়া। কিন্তু এখন দেশটিতে সফর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেোশের মতো পাকিস্তানে যাচ্ছে না টাইগারদের জাতীয় দল।
এ অবস্থায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানালেন, সফর নিয়ে এখনও জটিলতা আছে। টি-টুয়েন্টি খেলতে যাওয়া নিয়েও সরকারের সব পক্ষ থেকে ছাড়পত্র পায়নি বিসিবি। তাছাড়া কোচিং স্টাফদের বেশির ভাগ যেতে চাইছেন না পাকিস্তানে। ক্রিকেটারদের একটি বড় অংশও রাজী হচ্ছে না।
এ কারণেই টি-টুয়েন্টি পাকিস্তানে খেলে টেস্ট নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে পিসিবিকে। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজ শেষে পিসিবি প্রধান এহসান মানি জানালেন-পাকিস্তানের সব ‘হোম’ সিরিজ এখন থেকে পাকিস্তানেই হবে। বাংলাদেশকেই প্রমাণ করতে হবে পাকিস্তান নিরাপদ নয়।
বৃহস্পতিবার বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে অনেক ইস্যু আছে। অনেক স্টেইকহোল্ডার আছে। একটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। বোর্ডের বাইরেও আছে। খেলোয়াড়রা আছে, কোচিং স্টাফ আছে। ওদের মতামতের ব্যাপার আছে যে তারা যাবে কিনা, আরেকটা ব্যাপার আছে, সরকারের প্রতিটি বিভাগ থেকে নিরাপত্তার ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে কিনা।’
সব ব্যাপার পর্যালোচনা করে টি-টুয়েন্টি খেলতে পাকিস্তানে যেতে রাজি আছে বাংলাদেশ। তবে টেস্ট নয়। যদিও সফরে সেখানে দুটি টেস্ট খেলার কথা তাদের। নাজমুল হাসান পাপন জানান, ‘দেখুন, আমরা তাদেরকে জানিয়েছি যে, আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাওয়ার চেষ্টা করব। ওরা যদি রাজী হয়। তবে সেটা নির্ভর করবে দুটি জিনিসের ওপর। একটা হলো ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা যদি রাজী হয়, আমরা যদি ভালো একটি দল বানাতে পারি, তাহলে পাঠাব। দ্বিতীয়ত, সরকারের প্রত্যেকটি জায়গা থেকে ছাড়পত্র। টি-টোয়েন্টি খেলতে যেতেও তো আমার ছাড়পত্র লাগবে সরকারের সব নিরাপত্তা সংস্থার! তাছাড়া আমরা এবার ঠিক করেছি, আমাদের নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও ডিজিএফআই, এনএসআই, ওসব জায়গা থেকে লোকজন নিয়ে যাব।’
টি-টোয়েন্টি খেলতেও দল যাবে কীনা তা পরিস্কার নয়। পাপন আরও জানালেন, ‘কোচিং স্টাফদের অনেকে আগেই বলে দিয়েছে, ওরা যাবে না। কেউ কেউ যেতে পারে, তবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। বেশির ভাগই যেতে চায় না। ক্রিকেটারদের অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছু ক্রিকেটার যেতে ইচ্ছুক নয়। কয়েকজন যেতে রাজী, তবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। ওদের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে একটি বড় ব্যাপার হলো পরিবার। ওদের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন সবাই চিন্তিত।’
এ অবস্থায় যারা যেতে রাজী, তারা বিসিবিকে জানিয়েছে আপাতত টি-টুয়েন্টি খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে চলে আসতে চায়।
Discussion about this post