জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে খুলনাকে হারিয়ে রাজশাহী দেখিয়ে দিল, নিজেদের দাপট। খুলনাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন রাজশাহী।
ম্যাচ জিততে আজ রাজশাহীর সামনে ছিল ১০৯ রানের সহজ লক্ষ্য। ওপেনার হাবিবুর রহমান ও সাব্বির হোসেনের জুটিতেই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান যোগ করেন দুজন। হাবিবুর রহমান ৬২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। শেষ দিকে সাব্বির রহমান ৭ বলে ১২ রানে অপরাজিত থেকে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন।
এর আগে রাজশাহীর প্রথম ইনিংসে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন শাখির হোসেন। সাত নম্বরে নেমে তিনি খেলেন ৮৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
খুলনা তৃতীয় দিনের সকালে ১ উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত থামে ২৫৫ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। চারজন ব্যাটার ৩০ ছাড়ালেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। রাজশাহীর নাহিদ রানা ৩ উইকেট নেন ৭১ রানে, একই সাফল্য পান আরেক পেসার আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদ (২৯ রানে ৩ উইকেট)। তবে সেরা ছিলেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার এসএম মেহেরব-৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন তিনি।
এদিকে সিলেটের মাঠে চলছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং মহড়া। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও দিন শেষ করেন ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে। সিলেট বিভাগ দিন শুরু করেছিল বিনা উইকেটে ৩৩ রানে, শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৬০ রান তুলে। এখনও ঢাকার চেয়ে ৫০ রানে পিছিয়ে তারা।
মুশফিক যখন নামেন, তখন সিলেটের স্কোর ৮২ রানে ৩ উইকেট। খুব শিগগিরই ১১৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়। কিন্তু শাহানুরের (৩০) সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তার ১৭০ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কা।
কক্সবাজারে চট্টগ্রাম ও বরিশালের ম্যাচে অবশ্য খেলার চেয়ে বৃষ্টি ছিল বড় খবর। তৃতীয় দিনে মাঠে বল গড়িয়েছে মাত্র ১৫ ওভার। আগের রাতের বৃষ্টিতে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় ম্যাচ শুরুতেই দেরি হয়, পরে আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বরিশাল ২ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে ২ উইকেটে ১৬৬ রানে দিন শেষ করে।
একই দিনে পাশের একাডেমি মাঠে ময়মনসিংহ ও রংপুরের ম্যাচে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি, সারাদিন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল।
			
                                







Discussion about this post