সকাল থেকেই বল হাতে দাপট ছিল বাংলাদেশের বোলারদের। দিন যতো গড়িয়েছে, ততোটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন স্পিনাররা। আরেকটু সরাসরি বলা যায়- তাইজুল ইসলামের রেকর্ড গড়া স্পিন যাদুতে দুটি সেশন বাংলাদেশের। তাইজুলের ৭ উইকেটে ৪৪ রানের লিড টাইগারদের।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রোববার টেস্টের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই আক্রমণ শুরু স্পিনারদের। এরমধ্যে তাইজুল ইসলাম নিজেকে মেলে ধরেন। স্পিনের ঘূর্ণিতে নাজেহাল করে দেন প্রতিপক্ষকে। বিনা উইকেটে ১৪৫ রানে প্রথম দিন শেষ করা বাবর আজমের বাংলাদেশ অলআউট করে দেয় ২৮৬ রানে।
তাইজুল একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট। এবাদত হোসেন ২ ও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ১টি উইকেট। ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৭ রান করেন আবিদ আলি। ৫২ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক।
তবে পাকিস্তানের শেষ জুটি ভাঙাই যাচ্ছিল না। ফাহিম আশরাফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রতিরোধ গড়েন। চা-বিরতি পিছিয়ে দিয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৭২ বল স্থায়ী ২৯ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল। ৮০ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করেন ফাহিম।
ইনিংসে রেকর্ড গড়ে ১১৬ রানে ৭ উইকেট নেন তাইজুল। টেস্ট পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ২০১১ সালে ঢাকা টেস্টে সাকিব আল হাসানের ৮২ রানে ৬ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০/১০ (মুশফিক ৯১, লিটন ১১৪, ইয়াসির ৪, মিরাজ ৩৮, তাইজুল ১১, আবু জায়েদ ৮, ইবাদত ০; আফ্রিদি ২৭-৮-৭০-২, হাসান ২০.৪-৫-৫১-৫, ফাহিম ১৪-২-৫৪-২, সাজিদ ২৭-৫-৭৯-১, নুমান ২৬-৬-৬২-০)।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১৪৫/০) ১১৫.৪ ওভারে ২৮৬ (আবিদ ১৩৩, শফিক ৫২, আজহার ০, বাবর ১০, ফাওয়াদ ৮, রিজওয়ান ৫, ফাহিম ৩৮, হাসান ১২, সাজিদ ৫, নুমান ৮, আফ্রিদি ১৩*; আবু জায়েদ ১২-০-৪১-০, ইবাদত ৪৪.৪-৯-১১৬-৭, তাইজুল ১৯-৫-৩৯-০, মিরাজ ৩০-৭-৬৮-১, মুমিনুল ৩-০-১২-০)।
# তৃতীয় দিন চা বিরতি পর্যন্ত
Discussion about this post