টেস্টের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল তৃতীয় দিন শেষেই। অ্যান্টিগাতে চতুর্থ দিনে শুধু আনুষ্ঠানিকতাটাই সারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৩৫ রানের সেই লক্ষ্যটা এদিন অনায়াসেই তুলে নিল স্বাগতিকরা। জন ক্যাম্পবেল ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডের জুটিতেই ক্যারিবিয়ানরা ম্যাচ জিতে গেল অনায়াসে।
বাংলাদেশকে অ্যান্টিগা টেস্টে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২ ম্যাচ সিরিজে লিড নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবশ্য জয় অনেকটাই অবধারিত ছিল তাদের। চতুর্থ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮৪। তারপরও সৈয়দ খালেদ আহমেদের বল স্বপ্ন দেখিয়েছিল আগের দিন। আগের দিন উইন্ডিজ ৩ উইকেট হারালেও এরপর ছন্দ ধরে রাখে তারা। রোববার চতুর্থ দিন সকালে ৭ ওভারেই লক্ষ্যে চলে যায় দলটি। ওপেনার অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। ব্ল্যাকউড ২৬ রানে হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন।
সব মিলিয়ে হতাশাতেই কাটল প্রথম টেস্ট। বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় পায় টাইগাররা। তারপর ৬ টেস্টের ৫টিই বড় ব্যবধানে হার। বাকি একটি ড্র। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৯ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে সবার নিচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনে টস হেরে আর্দ্রতা থাকা উইকেটে আগে ব্যাট করার কঠিন ছিল বাংলাদেশকে। টেস্ট শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য এনিয়ে বলছিলেন, ‘অবশ্যই টস উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে তা নিয়ে তো অভিযোগ করতে পারি না। এটা মেনে নিতেই হবে। আমাদের প্রয়োজন ছিল ভালো ব্যাট করা। উইকেট কঠিন ছিল বটে। তবে আমরা যদি আরও বেশি নিবেদন দেখাতাম, ৬ উইকেট না হারিয়ে ২টি হারিয়ে লাঞ্চে যেতাম, তাহলে আদর্শ হতো। সেই সেশনের পর থেকে উইকেট গত তিন দিন ধরেই ছিল ভালো। ওই এক সেশনই আমাদের খেলা শেষ করে দিয়েছে। আমরা ম্যাচে সবসময় পেছনে পড়ে থেকেছি। উন্নতির তাই অনেক জায়গা আছে।’
টেস্টে ধারাবাকিতভাবেই ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এনিয়ে সাকিব হুঁশিয়ারি দিলেন সতীর্থদের। অধিনায়ক ম্যাচ শেষে বললেন, ‘এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এরকম আমরা নিয়মিতই করছি এখন। গত ৪-৫ টেস্ট ধরেই এটা হচ্ছে। রান করা ও উইকেটে টিকে থাকার পথ ব্যাটসম্যানদের খুঁজে বের করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে এভাবেই এগোতে হয়। এরপর বোলারদের দায়িত্ব। এটাই সরল সমীকরণ, যেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
তবে বোলারদের নিয়ে কোন অভিযোগ নেই সাকিবের। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু ২৪ জুন। সেখানে ঘুরে দাঁড়াতে চায় লাল-সবুজের দল!
Discussion about this post