দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই চারপাশ অন্ধকার করে এলো। এই আলোক-স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা ২৪ মিনিট আগে শেষ হয়েছে। তখন আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৫ রান। বাংলাদেশের চেয়ে এখনো ৬১৭ রান। মানে ঢাকা টেস্টে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
শুক্রবার সারা দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৬৮ ওভার। এর সঙ্গে ইনিংস বিরতির জন্য কাটা গেছে ২ ওভার। মানে তৃতীয় দিন হারিয়ে গেছে ২০ ওভার। এরমধ্যে ৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে আফগানিস্তান তুলল ২ উইকেটে ৪৫ রান। ইতিহাস গড়ে জেতা তাদের জন্য মিশন ইমপসিবল। কারণ চাই আরও ৬১৭ রান। বাংলাদেশের এই টেস্ট জিততে চাই ৮ উইকেট।
ছুটির দিনে মিরপুরের শেরেবাংলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ৫৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে আরও ২৯১ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ইনিংস মিলে তুললেন ২৭০ রান। এটি এক টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
শান্তর পর সেঞ্চুরি তুলেন মুমিনুল হক। সময়ের হিসাবে দীর্ঘ ২৬ মাস ও ২৬ ইনিংস পর সেঞ্চুরি করেন তিনি। ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। জাকির হাসান খেলেন ৭১ রানের ইনিংস। অধিনায়ক লিটন দাস অপরাজিত ৬৬ রানে। সবাই রান তুলে দলকে নিয়ে গেছেন নিরাপদস্থানে।
তারপর বোলাররাও ঠিকঠাক খেলে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের কোনো ইনিংসে প্রথম বলে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। এর আগে এই রেকর্ড ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার। ২০০৭ সালে ভারতের ওয়াসিম জাফরকের টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন ফেরান আব্দুল মালিককে। তিনি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৮২/১০
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ১৪৬/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৮০ ওভারে ৪২৫/৪ (ডিক্লে.) (জয় ১৭, জাকির ৭১, শান্ত ১২৪, মুমিনুল ১২১, মুশফিক ৮, লিটন ৬৬; আহমাদজাই ১৩-১-৬১-০, মাসুদ ১২.৫-০-৮৩-০, হামজা ১৬.১-০-৯০-১, জানাত ৮-০-৪৮-০, জাহির ২৩-০-১১২-২, শাহিদি ৩-০-১৯-০, জামাল ২-০-৪-০, রহমত ২-০-৪-০)
আফগানিস্তান ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৬৬২) ১১ ওভারে ৪৫/২ (জাদরান ০, মালিক ৫, রহমত ১০, শাহিদি ১৩ আহত অবসর, জামাল ৫; শরিফুল ৪-১-৬-১, তাসকিন ৪-০-২৮-১, তাইজুল ২-০-৬-০, মিরাজ ১-০-১-০)
Discussion about this post