ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের চূড়ান্ত সময়েও টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। শুধু তা-ই নয় পাশাপাশি চলেছে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ এবং টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের খেলাও। এদিকে পাশের দেশ আয়ারল্যান্ডেও হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। ওদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে এখন জৈব সুরক্ষাবলয়ে চলছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)। দুই মাস ধরে ঘরোয়া লিগ খেলছে শ্রীলঙ্কা। এ মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানের ঘরোয়া লিগও ফিরছে মাঠে। আফগানিস্তানও তাদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করে দিয়েছে। এ মাসেই ভারতের আইপিএল শুরু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অথচ বাংলাদেশের অবস্থা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর কোনো তোড়জোড়ই নেই বিসিবির।
বিসিবির আপাতত লক্ষ্য-বয়সভিত্তিক ক্রিকেট, হাই পারফরম্যান্স দল, বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও জাতীয় দলকে বিদেশ সফরে ব্যস্ত রাখা। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে পড়েছে পেছনে। সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই শুরু হয় ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বিপিএলের কার্যক্রম। কিন্তু এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বিসিবি বিপিএল আয়োজনের সাহস পাচ্ছে না। গত মার্চে স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ঠিকমতো হলেই নাকি বিপিএল আয়োজনের কথা ভাববে বিসিবি। কিন্তু সেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেরও এখন পর্যন্ত কোনো খবর নেই, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘বোর্ডের ইচ্ছা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট আবার শুরু করা। প্রিমিয়ার লিগ যদি সফলভাবে করতে পারি, তাহলে বিপিএল করার চিন্তা করা যাবে।’
ইসমাইল হায়দার মল্লিক বললেও প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সিসিডিএম এ বছর লিগ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিসিডিএমের এক কর্মকর্তা কাল জানালেন, ‘এ বছর আর লিগ হচ্ছে না। সব আলোচনা বন্ধ।’ আর প্রিমিয়ার লিগ না হওয়ার অর্থ-এ বছর হবে না বিপিএলও। অক্টোবর-নভেম্বরে জাতীয় লিগ আয়োজনের চেষ্টার কথা শোনা যাচ্ছিল। সেই প্রক্রিয়াও থেমে গেছে করোনা পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে বিসিবির অনীহায়।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে প্রিমিয়ার লিগই আগে শুরু হবে, এরপর বিপিএল। সে সময় অনেক বিদেশির আগমণ ঘটবে। তাই তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা অসম্ভবই মনে করে বিসিবি। জৈব সুরক্ষাবলয় তৈরি করা যে বিশাল ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার, সেটিও বিসিবির পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান। ইসমাইল হায়দার অবশ্য মনে করেন, ‘বিপিএলে অনেক বিদেশি লোকের এখানে আসার ব্যাপার আছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো এখন বাংলাদেশে আসতে চাইবেন না।’
Discussion about this post