ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি–টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেললেন তাসকিন আহমেদ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অভিষেক হলেও বল হাতে খুব একটা স্মরণীয় সূচনা করতে পারেননি বাংলাদেশি এই পেসার। রান আটকাতে লড়াই করতে হয়েছে তাকে, উইকেটের দেখা পাননি। তবুও দলগত সাফল্যের কারণে তার অভিষেক ম্যাচ শেষ হয়েছে হাসিমুখেই।
আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শারজা ওয়ারিয়র্স মুখোমুখি হয় এমআই এমিরেটসের। আগে ব্যাট করে শারজা সংগ্রহ করে ১৭৪ রান। ক্যারিবীয় ব্যাটার জনসন চার্লসের ব্যাটে আসে বড় স্কোর। তিনি ৫৩ বলে ৭৭ রান করে দলের ইনিংসের ভিত গড়ে দেন। তার সঙ্গে সহায়ক ভূমিকা রাখেন টম কোলার ক্যাডমোর, যিনি করেন ৩০ রান, এবং সিকান্দার রাজা, যিনি যোগ করেন ২৯ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এমআই এমিরেটস শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রানেই থামে। তাসকিন আহমেদ এই ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে ৩৯ রান দেন। উইকেট না পেলেও তিনি একমাত্র খরুচে বোলার ছিলেন না। শারজার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান দেন শ্রীলঙ্কার তরুণ পেসার মাথিশা পাথিরানা, যিনি ৪ ওভারে ৪১ রান খরচ করেন। জুনায়েদ সিদ্দিকীও ৪ ওভারে ৩৫ রান দেন। বোলিংয়ে শারজার বড় ভরসা হয়ে ওঠেন সিকান্দার রাজা। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন এবং ব্যাটে-বলে দারুণ অবদানের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন।
অন্য ম্যাচে দেখা গেছে আরেক বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। টানা দুই জয়ের পর দুবাই ক্যাপিটালস নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ডেজার্ট ভাইপার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরে যায়। দুবাইয়ের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য ভাইপার্স পূরণ করে নেয় হাতে দুই বল রেখে।
এই ম্যাচে মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স ছিল আগের ম্যাচের চেয়ে অনেকটাই উন্নত। নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে তিনি ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়েছিলেন। এবার ভাইপার্সের বিপক্ষে ৩০ রানের বিনিময়ে নেন ১ উইকেট। শুরুতে কিছুটা খরুচে ছিলেন তিনি, প্রথম দুই ওভারে ২১ রান খরচ হয়। তবে ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ ছিলেন বেশ নিয়ন্ত্রিত, শেষ স্পেলে দেন মাত্র ৯ রান। তবুও তার এই প্রচেষ্টা দলের হার এড়াতে যথেষ্ট ছিল না।










Discussion about this post