ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল দল। মাত্র ১৩৯ রান তুলতেই শেষ ৬ উইকেট। তখনই মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে দৃশ্যপট পাল্টে দেন ইমরুল কায়েস। চাপ কাটিয়ে উঠে পথ দেখান বাংলাদেশ দলকে। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুজনে মিলে ১২৭ রান যোগ করলেন। ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরি ও সাইফুদ্দিনের ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেন। আর বাংলাদেশ পেয়ে যায় বড় পুঁজি। সপ্তম জুটিতে দু’জন গড়েন রেকর্ড। এর আগের রেকর্ড ছিল মুশফিকুর রহীম ও নাঈম ইসলামের ১০১। ২০১০ সালে নিউ ল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিনে ওই জুটি গড়েন তারা।
মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে করেছে ২৭১ রান।
ম্যাচে ৬ ছক্কা আর ১৩ চারে ১৪০ বলে ১৪৪ রান করেন ইমরুল। যা কীনা ওয়ানডে ক্রিকেটে মিরপুরে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের সর্বােচ্চ রানের ইনিংস। আর সাইফউদ্দিন করেন ৫০ রান।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা ইমরুল কায়েস পেয়েছিলেন নিজের দশম ওয়ানডেতে। ২০১০ সালে ক্রাইষ্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর ৬ বছর দেখা মিলেনি তিন অঙ্কের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের ৬তম ওয়ানডেতে ১১২ রান করেন এই মিরপুরের মাঠেই। এবার তৃতীয় ওয়ানডে শতক মিলল এই হোম অব ক্রিকেটে।
৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জার্ভিস।তেন্দাই চাতারা ৩ উইকেট পেয়েছেন। পাঁচটি ক্যাচ নিয়ে নিয়েছেন উইকেটকিপার ব্রেন্ডন টেলর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭১/৮ (লিটন ৪, ইমরুল ১৪৪, মাহমুদ ০, মুশফিক ১৫, মিঠুন ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ০, মিরাজ ১, সাইফ ৫০, মাশরাফি ২*, মুস্তাফিজ ১*; জার্ভিস ৪/৩৭, চাতারা ৩/৫৫, টিরিপানো ০/৬০, মাভুটা ১/৪৮, রাজা ০/৩৭, উইলিয়ামস ০/৩২)
Discussion about this post